ভূমিকা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মুসলিম জগতে বিশেষ করে বাঙালী মুসলমানদের শ্রেষ্ঠসম্পদ। তিনি আমাদের রেনেঁসার অগ্রদূত। ইসলামী বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের রূপকার। তিনি বিশ্ববিখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী, তাঁর জ্ঞানের বিশালতা ও গভীরতার জন্য সবাই তাঁকে চলন্ত বিশ্বকোষ বলে জানত। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অগ্রপথিক এবং আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক। এ মহান মনীষী সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করা খুবই দুঃসাধ্য । গ্রন্থ রচনায় যে সমস্ত লেখকের বইয়ের সাহায্য নিয়েছি তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। বই লেখার আনন্দের চেয়ে পাঠকের গ্রহনযোগ্যতা বিষয়টি সর্বাগ্রে। জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন ও কর্ম করে লেখক ও গবেষকদের সামান্য উপকারে আসলে আমার শ্রম সার্থক । আলমগীর হোসেন খান
সূচিপত্র * জন্ম ও বংশ পরিচয় * কর্মজীবন * সংসার জীবন * ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ধর্মীয় জীবন * ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ * ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক গুণাবলি * ভাষা পণ্ডিত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ * বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ * সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ * ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রন্থি ও অগ্রন্থিত রচনাবলি * একটি নক্ষত্রের বিক্রয়
আলমগীর হােসেন খানের জন্ম ২ নভেম্বর ১৯৭৩। খাল-বিল বিধৌত প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা আবদুল গফুর ও মাওলানা আজিম উদ্দিন (র) স্মৃতিবিজরিত কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গনেশপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহি খান পরিবারে। পিতা আবদুল জব্বার, জননী জাফিয়া খাতুন। মায়ের হাতে লেখাপড়ার হাতেখড়ি। তারপর বড় ভাইয়ের স্নেহের দীর্ঘ ছায়ায় অশৈশব বেড়ে ওঠা তার। জনপ্রিয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সােনালী আসরে প্রকাশিত হয় প্রথম ছড়া খুকুর পুতুল। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার বেশিরভাগ কেটেছে- পদ্মকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ, সরকারি তােলারাম কলেজ, ঢাকা মেট্রোপলিটন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়েছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। সবশেষে তিনি আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদ থেকে শিক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ এবং আল মাহমুদ। লেখালেখির শুরু স্কুল জীবন থেকেই, বিকাশ নব্বইয়ের দশকে। পেশাজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে বর্তমানে তিনি দেশের খ্যাতিমান একটি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারি অধ্যাপক (খণ্ডকালীন) হিসেবে নিয়ােজিত আছেন। শিশুসাহিত্য, কবিতা, ছড়া, জীবনী, শিক্ষা ও গবেষণা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, উপন্যাস সব মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭০। শিশুসাহিত্যের জন্য পেয়েছেন কাশফুল কালচারাল একাডেমি এবং সরগম সঙ্গীতবিদ্যা নিকেতন কর্তৃক শিশুসাহিত্য পদক, খােকা-খুকুর আসর কর্তৃক কথামালা সাহিত্য কুইজ প্রথম পুরস্কার (২০০৩), উপন্যাসে শিরীনের নবীন লেখক পুরস্কার ২০০৬সহ তিনি শিক্ষকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রেনেসা’কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা পদক লাভ করেন। তিনি বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য। স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া ইয়াসমিন, পুত্র মাহমুদুল হাসান রাকিব এবং রাফিউল হাসান রাফিকে নিয়ে তার সুন্দর সংসার।