"শিশুর মনোজগৎ শিশুর সৃজনশীল বেড়ে ওঠা" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: এ শুধু কথার কথা নয় যে, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের কাণ্ডারি । কথাটা আমাদের মতাে দেশের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযােজ্য। ফলে শিশুর সুস্থ, সবল, সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার দিকে রাষ্ট্র, সমাজ ও শিশুর পরিবার-সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের গভীরভাবে নজর দেওয়ার ব্যাপারটি অনস্বীকার্য। তাঁদের স্বাভাবিক দায়িত্বেরও অংশ। ফলে শিশুর বাড়বাড়ন্তের ব্যাপারে অবহেলা করা মানে শুধু শিশুটিকেই অবহেলা করা। নয়, দেশের ভবিষ্যৎকেও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার শালিল। ঘটনা। দেশ-বিদিত অধ্যাপক ডা. মােহিত কামাল ‘শিশুর মনােজগৎ শিশুর সৃজনশীল বেড়ে ওঠা বইয়ের মাধ্যমে অনুপুঙ্খভাবে। তুলে ধরেছেন শিশুর জন্মের পর থেকে প্রতি পদক্ষেপে তার বেড়ে ওঠার ব্যাপারে মা-বাবা ও অভিভাবকেরা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন, তার কথা । শিশুর শুধু দৈহিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ব্যাপারে এ বইয়ে যে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ লেখক পেশ করেছেন, তা প্রতিটি মা-বাবা ও শিশুর অভিভাবকের মেনে চলা অবশ্য কর্তব্য। সেই বিচারে এ বই হােক তাঁদের সকল সময়ের সঙ্গী।
তিনি একদিকে কথাসাহিত্যিক, অন্যদিকে মনোশিক্ষাবিদ। ২০১৮ সালে কথাসাহিত্যে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। জাপানের ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হন বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো। জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি সাগরকন্যা সন্দ্বীপে। এমবিবিএস করেছেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে। তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক ’শব্দঘর’র সম্পাদক এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএমএইচ)-এর একাডেমিক পরিচালক। ২০১২ সালে তাঁর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘মানব মনের উদ্বেগ ও বিষন্নতা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য করা হয়।