“টেক্সটাইল প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বাংলা ভাষায় টেক্সটাইল বিষয়ে প্রকাশিত বই পুস্তকের সংখ্যা খুবই কম। তদুপরি, টেক্সটাইল প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং বিষয়ে বাংলা ভাষায় প্রনীত বই পুস্তকের সংখ্যা আরাে কম। বর্তমানে দেশে একটি কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকননালজী, ছয়টি ইন্সষ্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনােলজী এবং সাতাশটি টেক্সটাইল স্কুল আছে। এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্রছাত্রীদেরকে টেক্সটাইল সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে টেক্সটাইল প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং ও পড়ানাে হয়। কিন্তু বাংলায় প্রকাশিত এই বিষয়ে বইয়ের সংখ্যা খুবই কম যা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় বলে মনে হয়েছে। এমতাবস্থায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের এই অবস্থা দূর করার জন্যে টেক্সটাইল প্রিন্টিং ও ফিনিশিং এর উপর একটি বই লেখার তাগিদ আমি বিশেষভাবে উপলব্ধি করি। এই বইটি রচনার ক্ষেত্রে ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনােলজির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে প্রনীত বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বাের্ডের ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল টেকনােলজীর তৃতীয় বর্ষের টেক্সটাইল কেমিষ্ট্রি-৩ এর পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীগণ যাতে সহজে টেক্সটাইল প্রিন্টিং বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করতে পারে-সেভাবে লেখা। হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাগত যােগ্যতা ও পাঠ্যক্রমের আরােপিত সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করেই অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়নি। তবু যে সকল বিষয় সহজেই বােধগম্য এবং বিস্তারিত আলােচনা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রশ্ন থেকে যাবে - সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত কোন বিষয় বাদ দেয়া হয়নি। ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে পাঠ্যক্রমের অতিরিক্ত কোন কোন বিষয় সংযােজন করতে হয়েছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের কৌতুহল পুরণ হবে বলে আমার বিশ্বাস। বইটি প্রণয়নের জন্যে টেক্সটাইল প্রিন্টিং ও ফিনিশিং এর উপর বিদেশী ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ের সাহায্য নেয়া হয়েছে এবং এই উপমহাদেশের বিভিন্ন লেখকের রচিত বই থেকে প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং এর প্রচলিত পদ্ধতিগুলাে অত্র পুস্তকে সংযােজন করা হয়েছে।