"মাইন ক্যাম্ফ" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কিছু কথা: এডলফ হিটলার বইটিকে দুই ভাগে লিখেছেন। প্রথম অংশ কারাবন্দি সময়ে ১০ মাসে লিখেছেন, পরের অংশ দ্য ন্যাশনাল সোসাইটি মুভমেন্ট। বইটিতে হিটলারের মানসিকতার পাশাপাশি তৎকালিন সময়ে ভেঙ্গে পড়া ইওরোপের স্পষ্ঠ প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পেয়েছে। বইটিতে হিটলারের সংগ্রামী জীবন এবং সংগ্রামী হওয়ার নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। বিদ্ধংসী রাস্ট্র পরিচালনা এবং এর নানাবিধ করণ ফুটে উঠেছে। সে সব কারণ গুলো তিনি তার নিযেস্য ভাষায় উপস্থাপন এবং ব্যাক্ষা করেছেন। তার জীবনের কিছু অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন। ২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ সালে কয়েকজন কমরেড সহ হিটলারকে গ্রেপ্তার করে মিউনিক গণ-আদালতে বিচার করা হয়। বিচারে হিটলারের ভাগ্যে পাঁচ বছরের কারাবাস জোটে। তাকে লেখা নদীর তীরে ল্যান্ডসবাৰ্গ দুর্গে বন্দী রাখা হয়। যদিও সেই বছর ২০শে ডিসেম্বর হিটলার জেল থেকে মুক্তি পায়। বইটিতে রয়েছে অনেক শিক্ষা, ব্যক্তি জীবনের এবং রাষ্ট্র পরিচালনায়। হিটলারের নামটি নেতিবাচক হলেও তার নিযেস্য কিছু ক্ষমতা ছিলো, যা অনেক শিক্ষা বহন করে।
পরিতোষ মজুমদার এর কথা: অ্যাডলফ হিটলার – পৃথিবীর একটি বিস্ময়কর চরিত্র। বলতে দ্বিধা নেই কোন মানুষের হাতে পৃথিবীর ভাগ্য ইতিহাসে এতোখানি মোড় নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। তার লেখা “মাইন ক্যাম্ফ পড়তে গিয়ে অবাক লাগে। তৎকালীন বিধ্বস্ত জার্মানী তথা ইওরোপের রোগগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে হিটলার যে চরম বিশ্লেষণী ক্ষমতার পরিচয় এই বইয়ে রেখেছে, আজকের পৃথিবীতেও সেগুলোর উপযোগিতা কম নয় বলেই এই বই ভাষান্তরে হাত দিয়েছি। ভাষা থেকে ভাষান্তর সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে অনেক শব্দেরই সোজাসুজি পরিভাষা অন্য ভাষায় পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই বাক্য ধরে সব সময় অনুবাদ না করে অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের মূল সুরটাকে বজায় রাখতে চেষ্টা করেছি। ২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ সালে কয়েকজন কমরেড সহ হিটলারকে গ্রেপ্তার করে মিউনিক গণ-আদালতে বিচার করা হয়। বিচারে হিটলারের ভাগ্যে পাঁচ বছরের কারাবাস জোটে। তাকে লেখা নদীর তীরে ল্যান্ডসবাৰ্গ দুর্গে বন্দী রাখা হয়। যদিও সেই বছর ২০শে ডিসেম্বর হিটলার জেল থেকে মুক্তি পায়। এই দশ মাস সময়ে হিটলার বইটির প্রথম অংশ অর্থাৎ অ্যারিসস্ট্রেপেক্ট লেখে। পরে মাইন ক্যাম্ফের দ্বিতীয় অংশ দ্য ন্যাশনাল সোস্যালিস্ট মুভমেন্ট লেখা হয়। তাই মাইন ক্যাম্ফ শুধু হিটলারের মানসিকতাই বুঝতে সাহায্য করবে না, তৎকালীন ভেঙে পড়া ইওরোপের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবিও এই বইয়ের আয়নায় ধরা পড়েছে। মাইন ক্যাম্ফ এর লেখকের পরিচিতি: পরিতোষ মজুমদারের জন্ম এই শতকের চল্লিশ দশকে বাংলাদেশের ঢাকার পাশের বন্দর শহর নারায়ণগঞ্জে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও রক্তে রয়েছে তার সাহিত্য। তার গল্প এবং উপন্যাস দুই বাংলা থেকেই নিয়মিত প্ৰকাশিত হয়। একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে যে লেখক পরিতোষ মজুমদার বাংলা কথা সাহিত্যের ভূগোলকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর অনেক উপন্যাস এবং গল্পের পটভূমি মিডল ইস্ট, আফ্রিকা এবং ইওরোপ। বিচিত্ৰ মানুষের নানারঙের মিছিল।
আডলফ হিটলার ( [ˈadɔlf ˈhɪtlɐ] জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler আডল্ফ্ হিট্লা) (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ - ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন।
হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।