আমাদের কথা ছাত্রজীবন মানেই হলো বইয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকা। এইসময় তাদের একটিই কাজ যা হলো, “পড়া, পড়া এবং পড়া।” তবে এই পড়াশোনা হতে হবে সিস্টেমেটিক বা পদ্ধতিগত। তা নাহলে সারাদিন ধরে পড়েও সেই ইপ্সিত ফললাভ করা যাবে না। তবে শুধু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হলেই চলবে না। তার মধ্যে সবধরনের মানবিক গুণাবলীর প্রকাশও ঘটতে হবে। যাতে তার দ্বারা ভবিষ্যতে দেশ ওজনগণ উপকৃত হতে পারে সেই শিক্ষাই তাকে অর্জন করতে হবে। তার প্রকৃত শিক্ষার মূল বিষয় হলো এটাই।
আসলে আমরা অনেকেই জানি না, একজন ভাল ছাত্রকে নতুন করে কিছু আবিষ্কার করতে হয় না। এটার দরকারও নেই। তাকে যেটা করতে হয় সেটা হলো, আবিষ্কৃত তথ্য বা প্রচলিত বিষয়াবলী থেকেই তাকে অর্জন করতে হয় পরীক্ষার খাতায় উপযুক্ত নাম্বার পাবার মতো যোগ্যতা। এটা কিন্তু এমন কোন কঠিন কাজ নয়। একজন অতি সাধারণ মাত্রার ছাত্র বা ছাত্রীই এই গুনটি অর্জন করতে পারে অনায়াসে। এজন্য চাই সত্যিকারের গাইড। এই গাইড হতে পারেন অভিভাব এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা। এমনকি একটি ভাল বই এই বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারে।
ছাত্রজীবনে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক আচার আচরণ রক্ষা করা। কোন ছাত্র বা ছাত্রী যে প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনা করবে সেই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে চলা তার পবিত্র দায়িত্ব। ভালো মানুষ হতে হলে তার নিজের মেধাবিকাশের সহায়ক কার্যক্রমের দ্বারা সেই প্রতিষ্টানের স্বার্থ বিষয়ক যাবতীয় উপকরণেল প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাহলেই তার মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব। মনে রাখতে হবে একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী হলেই হবে না, তার সাথে এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক আচার আচরণও হতে হবে শোভন এবং সঙ্গতীপূর্ণ।
এই বইতে সচ্চরিত্র ও মেধাবী ছাত্র হওয়ার জন্য সেসব কাজগুলো করা দরকার সেগুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমিক আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো কোন একটি বইতে বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা কর্মজীবনে সার্থকতার পরিচয় দেয়া ব্যক্তিবর্গের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে প্রাপ্ত বাংলাদেশের কয়েকজন নামকরা ব্যক্তিত্বদের লিখিত ও প্রকাশিত গবেষণাধর্মী নিবন্ধের কিছু কিছু অংশও উদ্ধৃতি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এই তথ্যগুলো সকল ধরনের ছঅত্র-ছাত্রীদের প্রভূত উপকারে লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই এসব বরেণ্য লেখকদের প্রতি রইলো বাংলাদেশের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা।
বইতে ব্যবহৃত ছবিগুলো প্রতীকী হিসেবে দেয়া হয়েছে- যাতে বইটি পড়ার সময় কিছুটা দৃষ্টিনন্দন ভ্যারিয়েশন আসে। একঘেয়েমিতে পাঠক যাতে আক্রান্ত না হন। আশা করছি বইটি সকল ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভূত উপকারে লাগবে। আর তখনই আমাদের সকল পরিশ্রম সার্থক হবে।