লেখিকার কথা সকাল বা বিকালের নাস্তা কী হবে বা পরিবার কিংবা অতিথি মেহমানদের সামনে কী খাবার উপস্থাপন করা যায় এটা একটা বাড়তি দুশ্চিন্তা। আবার মনে রাখতে হবে, সকাল বা বিকালের নাস্তা ভারী হলেও চলবে না। রাতের ডিনার কিংবা দুপুরের লাঞ্চের মতো একগাদা উপকরণ থাকাও শোভনীয় নয়। হালকা অথচ পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের চাহিদা সব পরিবারেই দেখা যায়।
আধুনিক গৃহিনীদের অনেকেই মাঝে মাঝে বিড়ম্বনায় পড়ে যান সকাল আর বিকালের নাস্তার টেনশনে। অনেকে বাইরের খাবার আনিয়ে নেন। কিন্তু সবসময় বাইরের খাবার যেমন পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যসম্মত হয় না তেমনই হাতের কাছে ভালো ফুডশপও তো পেতে হবে। তাছাড়া, অনেক পরিবারেই দোকানের খাবারের প্রতি অনীহার মাত্রা অনেক বেশি।
এই বইতে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন নাস্তা, টিফিন, মিষ্টি তৈরির বিশেষ কিছু রেসিপি বইটিতে দেয়া হয়েছে। এই সাথে বইটিতে রান্নার আইটেম নির্ভর উপকরণ ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি রান্নার সাথে সেই আইটেমের ছবি দেয়া হয়েছে। যার ফলে অনায়াসে রান্নার ফলাফল হিসেবে সেটা কেমন দেখাবে তা একনজরে দেখে নিতে পারবেন আপনি। প্রতিটি মাধ্যমের কিছু বিশেষ রা্নার রেসিপি নিয়েই এই বইয়ের আয়োজন। বইতে দেয়া সূচিপাতাটি উল্টে দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের রান্নার রেসিপি এখানে দেয়া হয়েছে।
বইটি লেকার সময় টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন ভিডিও ফেুটেজ এবং সর্বোপরী ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, যুগান্তর, সমকাল, জনকণ্ঠ ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত রান্নার কিছু রেসিপি এখানে সংযোজিত করা হয়েছে। আমি এই সকল পত্রিকার সাথে জড়িত সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। এছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত, ও যাঁদের বিভিন্ন লেখা (ইন্টারনেট) থেকে বইটি সমৃদ্ধ করা হয়েছে তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। এই প্রসঙ্গে জনাব সাহাদাত উদরাজী, মানসুরা হোসেন, মোছাব্বের হোসেন, জিনাত নাজিয়া, শাহানা ফেরদৌস, শাহানা পারভীন, সিতারা ফিরদৌস, তৌহিদা শিরোপা, তামান্না শারশীন, মিঠি আওয়াল, কল্পনা রহমান, নাসরীন আলম, নাজমা হুদা, সানজিদা আফরোজ, সাশা মানসুর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ- এর প্রতি রইল অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।