লেখিকার কথা সাধারণত আচার বলতে আমরা আম বা বরইয়ের আচারকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এগুলো ছাড়াও যে অন্যান্য ফল থেকেও আচার তৈরি করা যায় তা আমরা অনেকেই জানি না। রসনার স্বাদ বাড়াতে আচারের ভূমিকা অপরিশীম। বিশেষ করে উৎসব বা পার্বনে রান্না করা বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেমের সাথে বাড়তি পদ হিসেবে অনায়াসে যুক্ত করা যায় আচার। এই বইতে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং সবজি থেকেও আচার তৈরির কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসব আচারের উপকরণ আপনি হাতের কাছেই পাবেন। বিশেষ করে মৌসুমী ফলের আচারগুলো অনায়াসে আপনার নজর এবং স্বাদ কাড়বে।
বিভিন্ন মিষ্টি খাবার আমাদের রসনাকে দেয় অন্যরকম স্বাদ। এই মিষ্টি খাবার বলতে আমি বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় ও রসদার মিষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণ সহযোগে তৈরি করা মিষ্টির কথাও আলোচনা করেছি। যেগুলো আপনি হাতের নাগালের উপকরণ দিয়েই অনায়াসে বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন।
পিঠা হলো বাঙালির উৎসব পার্বনের আয়োজন। পিঠা খেতে এবং বানাতে ভালোবাসে বাঙালি। এইজন্য বইটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পিঠার বিশাল আয়োজন। আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যে লালিত পিঠা তৈরি কৌশলের পাশাপাশি উঠে এসেছে এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত অসাধারণ সব পিঠার আয়োজন। যেগুলো আপনি বানাতে পারবেন আপনার ঘরে বসে সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে। রয়েছে বিভিন্ন উৎসব আর পার্বনের বিখ্যাত পিঠার রেসিপি। এমনকি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আসরে যেসব পিঠাগুলো তৈরি করে পুরষ্কার জিতেছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পিঠা প্রস্তুতকারকরা- সেই পিঠার রেসিপিও এখানে সংযোজিত হয়েছে। যা আপনাকে চটজলদি পিঠা বানাতে সহায়তা করবে।
বইটি লেকার সময় ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যাঁদের বিভিন্ন লেখা থেকে বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে মোছাব্বের হোসেন, তৌহিদা শিরোপা, তামান্না শারমীন, মিঠি আওয়াল, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ-কে জানাই অন্ড়হীন শুভেচ্ছ।
এই বইতে উপরের তিনটি বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল সমৃদ্ধ রান্নার প্রয়োজনীয় রেসিপি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে একই বইতে এই তিন মাধ্যমের রেসিপি নিয়ে কেউ লিখেন নি। প্রতিটি মাধ্যমের কিছু বিশেষ রান্নার রেসিপি নিয়েই এই বইয়ের আয়োজন।
আশা করছি বইটি রন্ধন-বৈচিত্র্যে আগ্রহীদের কাছে গ্রহনীয় হবে।