লেখকের কথা আমাদের দেশে রান্নার বেশিরভাগ কাজ হয়ে থাকে চুলায়। হতে পারে সেটা লাকড়ির চুলা কিংবা কাঠ-কয়লার চুলা কিংবা গ্যাসের চুলা। অনেকে ইলেকট্রিক হিটারেও রান্না করে থাকেন। ইদানিং বেশি উন্নতমানের ইলেকট্রিক হিটার বাজারে পাওয়া যায়। তবে আপনি যে চুলাতেই রান্না করুন না কেন, আপনার প্রয়োজন হয় স্বল্প সময়ে সঠিক রেসিপিতে সুস্বাদু খাবার রান্না করার কৌশল। রান্নার সহজ কৌশল হিসেবে অনেকে বেছে নেন বিভিন্ন রান্নার মাধ্যম। যেমন প্রেসার কুকার, ফ্রাইপ্যান, ওভেন ইত্যাদি। কার্যভেদে এসব প্রতিটি রান্নার মাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন প্রকরণের পাশাপাশি এদের রেসিপি ও পরিমাপের মাত্রাও ভিন্ন হয়ে থাকে। যার ফলে সঠিক মাধ্যমের জন্য সঠিক রেসিপি জানা অত্যন্ত জরুরী।
ওভেন অনেকটা ইলেকট্রিক হিটারের মতো। তবে এতে হিটারের মতো রান্না চড়িয়ে তারপর নাড়াচাড়া করার তেমন সুযোগ নেই। বরং রান্না চড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়। কারণ, আপনার পছন্দ মতো সময় সেট করে দিলে সেই সময়ের পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে ওভেন বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং খাবার পুড়ে যাবার বা নষ্ট হয়ে যাবার টেনশনে ভোগার কোন কারণ নেই আপনার। আবার আরেক দিক থেকে সময় বাঁচানোর ক্ষেত্রে ওভেনে রান্নার জুড়ি নেই। ঠান্ডা খাবার গরম করা জাস্ট দুয়েক মিনিটের কাজ।
আপনার ঘরে যদি ইলেকট্রনিক এই রন্ধন-যন্ত্রটি থাকে, তাহলে সুইচ টিপে ওভেন চালিয়ে দিন। এরপর দেখবেন, ২-৩ মিনিটের মধ্যেই খাবার গরম হয়ে গেছে। তবে ওভেনে রান্নার রয়েছে নিজস্ব কিছু রেসিপি। যার মাধ্যমে ওভেনে নিজের পছন্দ আর রুচিমত রান্না করা যায় অত্যন্ত সহজে।
প্রেসার কুকারে রান্নার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ রেসিপি। আপনি অনেক কঠিন খাবারও প্রেসার কুকারের মাধ্যমে অত্যন্ত সহজে আর সুস্বাদু হিসেবে রান্না করতে পারবেন। এই সাথে ফ্রাইপ্যান এবং তার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
এই বইতে উপরের তিনটি জিনিসে রান্না করার ভিন্ন ভিন্ন কৌশল সমৃদ্ধ রান্নার প্রয়োজনীয় রেসিপি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে এই বইতে এই তিন ধরনের মাধ্যমের রেসিপি নিয়ে কেউ লিখেন নি। প্রতিটি মাধ্যমের কিছু বিশেষ রান্নার রেসিপি নিয়েই এই বইয়ের আয়োজন। বইতে দেয়া সূচিপাতাটি উল্টে দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের রান্নার রেসিপি এখানে দেয়া হয়েছে।
আশা করছি বইটি রন্ধন-বৈচিত্র্যে আগ্রহীদের কাছে গ্রহনীয় হবে।