সম্পাদকের কথা ইতিহাসবিদরা বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকে প্রথম যে কাজটি মানুষ করতে শিখেছিল তা হলো গণনা কার্য। আর তাই গণনা করা ছিল আদিমতম গাণিতিক কর্মকাণ্ড। আদিম মানুষেরা পশু ও বাণিজ্যের হিসাব রাখতে গণনা করত। আদিম সংখ্যা ব্যবস্থাগুলি প্রায় নিশ্চিতভাবেই ছিল এক বা দুই হাতের আঙুল ব্যবহার করে সৃষ্ট। বর্তমানের ৫ ও ১০-ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবস্থার বিস্তার এরই সাক্ষ্য দেয়। মানুষ যখন সংখ্যাগুলিকে বাস্তব বস্তু থেকে পৃথক ধারণা হিসেবে গণ্য করা শিকল এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এই চারটি মৌলিক অপারেশন বা প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করল, তখনই পাটীগণিতের যাত্রা শুরু হল। এরপর এর হাত ধরে একে একে এলো বীজগণিত আর জ্যামিতিক কর্মকান্ড। অনেকে বলেন আগে জ্যামিতির চর্চার আবির্ভাব হয়েছে। তবে যেটাই প্রথমে আবির্ভুত হোক না কেন এগুলো গাণিতিক কর্মকান্ডের অংশ।
আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গণিত ভীতি খুবই কমন একটা বিষয়। গণিতকে ভয় পায় না এমন ছাত্র-ছাত্রী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ, তাদের গাণিতিক কর্মকান্ড শুধুমাত্র তাদের পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই কারণে, তাদের মধ্যে গণিতের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করা একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় গণিতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই বইতে পাটীগণিত, বীজগণিত আর জ্যামিতির কছিু মজার মজার ধাঁধা সহযোগে এদের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। রয়েছে অংক সমস্যার কিছু চটজলদি গঠনমূলক সমাধান।
আশা করছি, আমার পাঠকবর্গ এই বই থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার মাধ্যমে অংকের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। আর সেই সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বইতে দেয়া অংকের বিভিন্ন ধাঁধার ব্যবহার সেই অনুষ্ঠানকে আরও মনোগ্রাহী করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।
এই বইতে গণিতের বিভিন্ন গবেষণামূলক বিষয়ের আলোচনার জন্য উইকিপিডিয়ার তথ্য ভান্ডার থেকে সহায়তা নেয়া হয়েছে। উইকিপিডিয়ার কর্মকর্তা ও কলাকুশলীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। গণিত পাঠশালা (ww.gonitpathshala.org) নামক সাইট থেকেও কিছু অংকের ধাঁধা সম্পর্কিত তথ্য নেয়া হয়েছে। এই সাইটের সকল কলাকুশলীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
পরিশেষে বইটি সকলের উপকারে লাগলেই আমার সকল শ্রম সার্থক হবে।