লেখিকার কথা প্রাচীন কালের গুহাবাসী মানুষের খাবার নিয়ে চিন্তা ছিল না। কারণ, তাদের কোন খাবার রান্না করে খাবার প্রয়োজন হতো না। কারণ, তাদের কোন খাবার রান্না করে খঅবার প্রয়োজন হতো না। বেশিরভাগ খাবার তারা কাঁচাই খেত। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে সাথে খাবার উপাদান আর উপকরণগুলোকে আগুনের সংস্পর্শে এনে সিদ্ধ করে খাওয়ার প্রচলন হয়েছে সেও অনেককাল আগেই। আধুনিক সভ্যতার আধুনিক মানুষের এই সমাজে রান্নার বিভিন্ন উপাদানের সাথে যুক্ত হয়েছে নানারকম পদ্ধতি। যাকে বলা হয় নিত্যনতুন রেসিপি। সচেতন যারা তারা একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, একই রান্না এক একজনের হাতে এক একরকম স্বাদের হয়ে থাকে। অতি সাধারণ রান্নাও গুণী রন্ধন শিল্পীর হাতে হয়ে ওঠে অসাধারণ সুস্বাদু। একটু লক্ষ্য করলেই এই পার্থক্যটুকু অনায়াসে উপলব্ধি করা যায়। এর প্রধান কারণ হলো খাবারের উপাদানের সঠিক মাত্রার প্রয়োগ। যাকে সোজা কথায় বলা হয় রেসিপি। যে কোন খাবার রান্নার সময় সঠিক রেসিপি অনুযায়ী রান্না করা হলে সেই খাবার সুস্বাদু হতে বাধ্য।
এই বইতে বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত রান্নার পাশাপাশি আমার নিজের তৈরি করা কিছু রেসিপির বর্ণনা দেয়া হয়েছে। প্রচলিত রান্নাগুলোর বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে। এগুলোর প্রতিটি রান্না পরীক্ষিত ও স্বীকৃত। বেশিরভাগ রান্নার সাথে সেই রান্নার ছবিও দেয়া হয়েছে। সুতরাং রান্নাগুলোর চেহারা কেমন হবে সেই সম্পর্কেও একটা ধারণা হয়ে যাবে আপনাদের। তাছাড়া আলাদা আলাদা করে বিভাগ নির্বাচন করা হয়েছে। ফলে আপনি যে ধরনের রান্না চাইছেন- সেই রান্নাটি সরাসরি সূচির পাতা থেকে দেখে নিতে পারবেন।
বইটি বাজার চলতি রান্নার বইয়ের ভিড়ে জায়গা করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, অন্যান্য বইয়ের সাথে এর প্রধান পার্থক্য হলো এতে রান্নার উপকরণ হিসেবে একবারে হাতের কাছে পাওয়া উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ কিছু উপকরণ আপনি কাছের মুদি দোকানেই খুঁজে পাবেন।
সর্বোপরী বইটি সব ধরনের পাঠক/ পাঠিকাদের উপকারে লাগলে আমার সকল শ্রম সার্থক হবে।
গল্পকার-এর জন্ম এবং শৈশব কেটেছে ঐতিহ্যবাহী বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। ঢাকার শহীদ মানিক আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস। বর্তমানে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত। তিনি দুই পুত্রের জননী। লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছোটবেলা থেকে। দৃষ্টিসীমায় যখন যা পড়ে, তা-ই নিয়ে কৌতূহল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যায়যায়দিন সাপ্তাহিকে গল্প কবিতা লেখা শুরু। দীর্ঘ বিরতির পর ইদানীং কর্মযজ্ঞের অবসরে সময় বের করে স্মৃতিগাথা, জীবনবোধ ও দর্শন লিপিবদ্ধ করে পাণ্ডুলিপিতে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন, যা প্রকাশকের ঔদার্যে উন্মোচিত হলো গ্রন্থাকারে এবং এর মাধ্যমে সাহিত্যাঙ্গনে পা রাখলেন-জেসমিন আক্তার।