ফ্ল্যাপে লিখা কথা যতই আমরা নিয়তি নিয়ে পরিহাস করি না কেন ইতিহাস ঘাঁটলে তার যে প্রবল প্রভাব দেখি তা শুধু ঐতিহাসিক রাজন, সম্রাট, সম্রাজ্ঞীদের মধ্যেই নয় আমাদের মতো সাধারণ মানব-মানবীদের মধ্যেও এর প্রবাল্য প্রায়শই দেখা যায়। গ্রীক নাট্যকাররা একে বলতেন destiny.
কেমন করে এই destiny একজনের জীবনকে সূর্যের দীপ্তিতে ভরিয়ে দেয় আবার রাহুর গ্রাসে অন্ধকার করে তোলে ভাবলে বুকের স্পন্দন বন্ধ হয়ে উঠে। ভারতের মোগল ডাইনিস্টিতে এমন একটি জীবনের দেখা মেলে। ইনি কিন্তু একান্তই মানবী। মানবীয় দোষ-গুণ তাকে জীবনভর চালিত করেছে।
তিনি কোনো ঐশ্বরিক আশীর্বাদ পুষ্ট নন। একান্তই নিজ শক্তি বলে নাটকের সিকোয়েন্স তৈরি করেছেন। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসে এ মহামানবীর জীবনে সৃষ্ট ট্রাজেডি-কমেডিগুলি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসে এ মহামানবীর জীবনে সৃষ্ট ট্রাজেডি-কমেডিগুলি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি আমি।
মেহেরুন বারে বারে ভাগ্যের হাতে মার খেয়েছেন। কিন্তু মুহূর্তের জন্যও তাঁর চলা থামেনি। উথাল-পাতাল ঝড়ের মধ্যে তিনি এগিয়ে চলেছেন। তবুও কি আকাঙ্ক্ষিত প্রান্তে যেতে পেরেছেন? কখনো পেরেছেন, কখনো পারেননি। তবে থেমে যাননি। এটাই ছিল তার কৃতিত্ব। জয়তু নূরজাহান তুমি।