ভূমিকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘকাল শিক্ষক ও অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি উদ্বিগ্নতার সাথে লক্ষ্য করেছি, তাহলো : ১। বর্তমান সমাজে শিক্ষাকতাকে যথার্থ গুরুত্ব ও সম্মানের সাথ দেখা হয় না বলে অনেক শিক্ষকের মাঝেই একটি হতাশাবোধ কাজ করে যা তাদেরকে স্বীয় পেশার প্রতি আশানুরূপ আন্তরিক ও নিবেদিত প্রাণ হতে নিরুৎসাহীত করে থাকে। এর নেতিবাচক প্রভাব স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে এবং এর ফলে একাডেমিক উৎকর্ষের দিক থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়ে। অপরদিকে , শিক্ষা প্রদান-গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদ এ চতুর্পক্ষীয় অংশীদারদেরকে নিয়ে সু-সমন্বিত ও ফলপ্রসূতভাবে Deal করেত পারার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধান অনেক সময় আশানুরূপ দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন না। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা তথা নেতৃত্বদান মূলত : একটি ‘আর্ট’ যা সঠিকভাবে রপ্ত ও অনুসরণ করা সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব কারণে একাডেমিক উৎকর্ষতাসহ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন কাঙ্খীত মানে পৌঁছতে পারে না। কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের এসব সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলি খোলামেলাভাবে আলোচনা করা এবং সেগুলির কাঙ্খীত সমাধান প্রদানের উদ্দেশ্যেই মূলত : এ পুস্তক লেখার প্রয়াস পেয়েছি।
সূচিপত্র প্রথম ভাগ : আদর্শ শিক্ষক হওয়ার সু-কৌশল * অধ্যায় -১ : শিক্ষকতাপূর্ব প্রস্তুতি * অধ্যায় -২ : শিক্ষকতায় প্রতিবন্ধকতাসমূহ * অধ্যায়--৩ : আদর্শ শিক্ষক হওয়ার সু-কৌশল
দ্বিতীয় ভাগ : আদর্শ প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার সু-কৌশল * অধ্যায় -১ : প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রাথমিক প্রতিকূলতাসমূহ * অধ্যায় -২ : আদর্শ প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার সু-কৌশল
এ গুলোর বিস্তারিত বিবরণ সহ দেওয়া আছে।
Title
অভিজ্ঞতার আলোকে আদর্শ শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার সু-কৌশল