"কাশ্মীর সিরিজ-৯: ইহুদী এজেন্ট" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: কমান্ডাে সেকেন্দার আলীর সফল অপারেশনে নিহত হলাে নিউক্লিয়ার ক্রুজ মিসাইল বিজ্ঞানী ছত্রপতি। সাময়িকভাবে স্তব্ধ হয়ে গেলাে শত্রুর নিউক্লিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণার অগ্রগতি। কাশ্মীরী মুজাহিদ এবং তাদের খালিস্তানী শিখ সহযােদ্ধারা ভাবলাে এবার বুঝি তারা শত্রুকে কিছুটা কাবু করতে পেরেছে। কিন্তু দুর্ধর্ষ শত্রু ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ড এতটুকু দমবার পাত্র নয়। এবার তারা আজাদ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অগ্নি ও অর্জুন মিসাইল স্থাপন করে ঝটিকা আক্রমণের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আজাদ কাশ্মীর দখলের পরিকল্পনা করলাে। মুজাহিদদের দুঃসাহসিক অভিযান তাদের এ পরিকল্পনাও নস্যাত করে দিল। কমান্ডাে সেকেন্দার আলী ভাবলাে ভারতের অভ্যন্তরের সামরিক প্রচেষ্টাগুলাে অনেকটা ব্যর্থ করে দিতে পেরেছি এবার আমাকে কাশ্মীরে যুদ্ধের ময়দানে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু ততদিনে শত্রু নতুন একটা চক্রান্তজাল বিছাতে শুরু করেছিল। ভারতের বিশ্বনিন্দিত গােয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের একজন উপসিক্রেট এজেন্টকে ভারতে আহ্বান করে এনেছিল। ধ্বংসাত্মক কাজে এই ইসরাঈলী টপসিক্রেট এজেন্টের জুড়ি ছিল না। `র’ এর চারজন অভিজ্ঞ কমান্ডােকেও তার সহযােগী করে দেওয়া হলাে। দিল্লীর সবচেয়ে অভিজাত অশােকা হােটেলে তারা আস্তানা গেড়েছিল। সিগফ্রেড নামের এই ইহুদী এজেন্ট ইংরেজ শিল্পপতি রিচার্ড বেকারের ছদ্মবেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে লাগল। র’ হেডকোয়ার্টারের উচ্চ পর্যায়ের অফিসাররা বিভিন্ন শিল্পপতির ছদ্মবেশে তার সাথে সাক্ষাত করে চলছিল। হঠাৎ এই ইহুদী এজেন্ট এবং তার চার সহযােগী অশােকা হােটেল থেকে উধাও হয়ে গেলাে। ......কোথায় গেলাে....... কোথায় গেলাে! ......তাদের পেছনে ছুটলাে এবার কাশ্মীরী মুজাহিদ কমান্ডাে সেকেন্দার আলী। একদিকে ‘র’ ও তাদের ভাড়াটে ইহুদী সন্ত্রাসী এজেন্ট এবং অন্যদিকে কাশ্মীরী মুজাহিদ কমান্ডাে সেকেন্দার আলী। শুরু হলাে সংঘাত, সংঘর্ষ। ......দিল্লী থেকে স্থানান্তরিত হলাে এ সংঘাত এবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লাহাের .....করাচী........পেশােয়ারে। এক চমকপ্রদ, উদ্দীপনাময় ও শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী নিয়ে এলাে ‘ইহুদী এজেন্ট'।