ভূমিকা ‘বাঁচার জন্য হাসুন, হার্টের জন্য হাসুন,সুস্থ থাকার জন্য হাসুন।’ এই শ্লোগান থেকে ‘মতি মিঞার ঘরসংসার’ নাটকের জন্ম। যে দিনে একবার অট্রহাসি দিল না সে দিনটিকে নষ্ট করে দিল। ইচ্ছে না করলেও দিনে একবার অট্রহাসি দেবেন, কারণ কোনটা আসল আর কোনটা নকল হাসি ব্রেন তা ধরতে পারে না। ফলে আসল হাসির মতোই কাজ হয়। ‘মতি মিঞার ঘরসংসার’ নাটকে মতি মিঞা একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। বর্তমানে টুকটাকে মু্ক্তারি করে থাকেন। নাটকের সময়কালে পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে। মতি মিঞার বাড়ি/বাসা শহরের উপকষ্ঠে। মতিমিঞা, তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই নাটকের অবতারণা। সংসারের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়েই এই নাটক। এই নাটকের প্রধান প্রতিপ্রাদ্য হচ্ছে এই সব হাস্যরস যেন গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে না যায়। শুধু দর্শকের আনন্দ দেয়ার জন্যিই এই নাটক। এর মদ্যেও দুই একটা কথা এসে গেছে যা সমাজের সমস্যাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।নাটকের কিছু কিছু ডায়ালগ সংগৃহিত হয়েছে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাস্যরস ও পত্রিকার কার্টুন থেকে। বিশেষ করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা হতে। যার জন্য দৈনিক যুগান্তরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এসব হাস্যরস খাঁচায় বন্দি করা গেলেও আামদের জীবনের নানা রঙের দিনগুলোকে একটি সোনার খাঁচায় বন্দি করা যায় না। কারণ আমাদের জীবনটা একটা পুরাতন মটর সাইকেল। নতুন মটর সাইকেল এক কিকেই স্টার্ট নেয় কিন্তু পুরাতন মটর সাইকেল তিন/চার কিকেও স্টার্ট নিতে চায় না। এভাবে আর কত দিন? একটি মটর সাইকেলের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের জীবনও মটর সাইকেলের মতো। একটি শোনা যাবে জীবন মটর সাইকেল আর স্টার্ট নেয়নি।
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।