"যোগাযোগ" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ “ঘরে বাইরে” রচনার প্রায় বার বৎসর পর রবীন্দ্রনাথ আবার উপন্যাস লিখিলেন। এই উপন্যাসের প্রথম নামকরণ হইয়াছিল “তিনপুরুষ”। এই নামে “বিচিত্রা” ... See more
TK. 250 TK. 215 You Save TK. 35 (14%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
"যোগাযোগ" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ “ঘরে বাইরে” রচনার প্রায় বার বৎসর পর রবীন্দ্রনাথ আবার উপন্যাস লিখিলেন। এই উপন্যাসের প্রথম নামকরণ হইয়াছিল “তিনপুরুষ”। এই নামে “বিচিত্রা” মাসিকপত্রে আশ্বিন ও কার্তিক এই দুইমাস বাহির হইবার পর কবি পুরাতন নাম বদল করিয়া ইহার নূতন নামকরণ করেন “যােগাযােগ”। এই নূতন নামকরণ উপলক্ষে লেখক একটি সুদীর্ঘ কৈফিয়ৎ দিয়াছিলেন। এই কৈফিয়তের কিছু কিছু অংশ উদ্ধৃত করা প্রয়ােজন। হইল। কবি বলিলেন, সাহিত্যসৃষ্টিতে। | “আখ্যান বস্তু, রচনারীতি, চরিত্রচিত্র, ভাষা, ছন্দ, ব্যঞ্জনা, নাট্যরস সবটা মিলিয়ে একটি সমগ্র বস্তু। একেই বলা চলে ব্যক্তিরূপ। বিষয়ের কাছ থেকে সংবাদ পাই, ব্যক্তির কাছ থেকে তার আত্মপ্রকাশজনিত রস পাই। বিষয়কে বিশেষণের দ্বারা মনে বাঁধি, ব্যক্তিকে সম্বােধনের দ্বারা মনে রাখি। রসশাস্ত্রে মূর্তিটি মাটির চেয়ে বেশি, গল্পটিও বিষয়ের চেয়ে বড়াে। এই জন্যে বিষয়টাকে শিরােধার্য করে নিয়ে গল্পের নাম দিতে আমার মন চায় না। গল্প জিনিসটাও রূপ, ইংরেজীতে যাকে বলে ক্রিয়েশন’; আমি তাই বলি গল্পের এমন নাম দেওয়া উচিত নয় যেটা সংজ্ঞা; আর্থাৎ যেটাতে রূপের চেয়ে বস্তুটাই নির্দিষ্ট। বিষবৃক্ষ' নামটাতে আমি আপত্তি করি। কৃষ্ণকান্তের উইল’ নামে দোষ নাই! কেননা ও নামে গল্পের কোন ব্যাখ্যাই করা হয়নি। কর্তা বলেন, তিনপুরুষের তিন তােরণওয়ালা রাস্তা দিয়ে গল্পটা চলে আসবে এই আমার একটি খেয়াল মাত্র ছিল। এই চলাটা কিছুই প্রমাণ করবার জন্য নয়, নিছক ভ্রমণ করবার জন্যেই। সুতরাং এই নামটা ত্যাগ করলে আমার গল্পের কোন স্বত্বের দলিল কাঁচবে না। আর একটি নাম ঠাউরেছি। সেটা এতই নির্বিশেষ যে গল্প মাত্রেই নির্বিচারে খাটতে পারে (“বিচিত্রা” অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪, ৮৯-৯১ পৃ.)। সাধারণভাবে এই যুক্তিকে স্বীকার করিতে আমার কোনও আপত্তি নাই; নাম, নাম মাত্রই, তাহার সঙ্গে বিষয়বস্তুর যােগ থাকিতেই হইবে, এমন কোনও যুক্তি নাই, বরং না থাকাটাই সুবিধাজনক। সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যাখ্যাবাহী নাম বন্ধনেরই নামান্তর। কিন্তু “তিন পুরুষ” নামটি যখন “যােগাযোেগ” উপন্যাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপন করা যায়, তখন মনে হয় গল্পবস্তুটির রূপ ও প্রসার সম্বন্ধে গােড়ায় লেখকের মনে যে ধ্যান ছিল সেই ধ্যানের সঙ্গে “তিন পুরুষ” নামের একটা সার্থক যােগ ছিল। কিন্তু সেই ধ্যান “যােগাযােগ” পরিপূর্ণতা লাভ করে নাই; গল্পবস্তুর রূপ ও প্রসার সম্বন্ধে যে পরিকল্পনা ঘােষালের বত্রিশ বৎসরের জন্মদিন লইয়া গল্পের সূচনা সেই গল্প পিছু হটিয়া যাত্রারম্ভ করিয়াছে অবিনাশের পিতামহ আনন্দ ঘােষালের মুহুরিগিরি হইতে, অর্থাৎ মােটামুটি ঊনবিংশ শতকের তৃতীয় পাদ হইতে। আনন্দ ঘােষালের জীবনেতিহাস প্রথম পুরুষ, দ্বিতীয় পুরুষ আনন্দ ঘােষালের পুত্র মধুসূদন, তৃতীয় পুরুষ অবিনাশ ঘােষাল। এই তিনের প্রথম পুরুষের সংক্ষেপে এবং দ্বিতীয় পুরুষের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান ও পরিবেশ সবিস্তারে “যােগাযোেগ” বিবৃত হইয়াছে। তৃতীয় পুরুষে অবিনাশ ঘােষালের জন্মের আভাসের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রন্থের পরিসমাপ্তি। কেন জানি মনে হয়, এই তিন জন্মের পুরুষ ধরিয়া বাঙালী সমাজের পারিবারিক জীবনে যে বিবর্তন হইয়াছিল, গ্রন্থপরিকল্পনার সূচনায় এই বিবর্তনের ইতিহাস লেখকের মনের পশ্চাতে ছিল; এই প্রসারিত পটভূমির উপরই তিনি “তিন পুরুষের বিচিত্র চরিত্রগুলির জীবন-লীলা ফুটাইয়া তুলিতে চাইয়াছিলেন। কিন্তু যে কারণেই হউক, “যােগাযােগ” তাহা এত সমগ্রতায় উদ্ঘাটিত হয় নাই। মধুসূদন ও কুমুদিনীর বাল্য ও কিশাের জীবনের পরিবেশ, এবং তাদের যৌবনের দাম্পত্য জীবনের সূক্ষ্ম ও স্থূল লীলাই উপন্যাসটির প্রধান উপজীব্য। “তিন পুরুষের মূল মনন-কল্পনার মধ্যে মহৎ উপন্যাসের বীজ নিহিত ছিল; সেই মনন-কল্পনা ভিন্নমুখী না হইলে হয়ত “গােরা”র মত আর একটি উপন্যাস সৃষ্টি আমরা প্রত্যক্ষ করিতে পারিতাম। কিন্তু “যােগাযোেগ” বিবর্তিত হইয়া “তিনপুরুষের সে সম্ভাবনা ঘুচিয়া গেল। বস্তুত, “গােরা”-পরবর্তী রবীন্দ্রনাথের সকল উপন্যাসই নভেলধর্মী’, তাহাদের খাটি উপন্যাস বলা একটু কঠিন; একমাত্র “যােগাযােগই তবু উপন্যাসের ধর্ম খানিকটা বজায় আছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।
কুমুদিনী চাটুজ্যে বংশের মেয়ে । যখন তার জ্ঞান হয়েছে নিজ বংশের দুর্গতিই সে দেখেছে । তাই সে সবসময় নিজেকে সংকুচিত করে রাখে । নিজেকে অপরাধী ভাবার জন্যেই সে তার ভাইদের হ্রদয়ের ভালোবাসা উপুড় করে হৃদয়ে নিংড়ে ভালোবাসা ঢেলে দেয় । ভাই বিপ্রদাসের সাথে কুমুদিনীর স্নেহপ্রীতিমধুর আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক । এ উপন্যাসে কুমুদিনীর পিতা-মাতার করুণ পরিণতি পাঠক হৃদয়কে ব্যথিত করেছে । তাই কুমুদিনী ঠিক করেছে সে তার মায়ের মতো ভুল করবে না । নিজেকে স্বামীর হাতে অর্ঘ্যরূপে তুলে দেবে বলে নিজেকে বিবাহের জন্য প্রস্তুত করেছে । কিন্তু তার স্বামী মধুসূদনের মন যে বড় শক্ত তাতে যে এক মুহূর্তের জন্যও রং লাগে নি । সে যে নিজ বংশের হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবার জন্যই কুমুদিনীকে বিয়ে করেছে । কুমুদিনীর দুর্বলতা যে তার দাদা বিপ্রদাস সেটা বুঝেই মধুসূদন কুমুদিনীকে মানসিক ভাবে আক্রমণ করে । চরম সহিঞ্চুতায় কুমুদিনী বার বার সে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে । যখন মধুসূদন বুঝতে পারে তার প্রভুত্ব সবার উপর খাটলেও কুমুদনীর উপরে খাটবে না তখন সে প্রভুত্বের আসন থেকে নেমে কুমুদিনীর কাছে মাথা নোয়ায় । এতে কুমুদিনী আরও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে । যখন মধুসূদন উৎপীড়ক ছিল তখন সহজেই কুমুদিনী প্রত্যাখান করতে পারত কিন্তু এখন কি অজুহাতে তাকে প্রত্যাখান করবে । যখন সে নিজেকে সমর্পণ করতে চেয়েছিল তখন সে অবজ্ঞা পেয়েছে আজ সে যে প্রস্তুত হয়ে আসে নি । আজ তার ডালা শূণ্য । তাকে দেবার কিছুই নেই । কুমুদিনীর মন যখন এমনই ভাবে অশান্ত হয়ে পড়ে তখন সে বার বার একান্ত বিশাসে ভগবানের শরণাপন্ন হয় কিন্তু এই স্নিগ্ধ লাবণ্যময়ী ,ধ্যানবিমুগ্ধ নারীকে বার বার সন্মুখীন হতে হয়েছে মধুসূদনের নীচ ইতর আর প্রভুত্বকামী মনের সামনে । এদিকে মধুসূদনও নিজের নতুন পরিচয়ে অবাক হচ্ছে । যার মায়ের মৃত্যুতে ও তার কাজের ব্যাঘাত ঘটে নি আজ তার কাজের প্রতি অবহেলা দেখে বিস্মিত হতে হচ্ছে । কাজে মনোযোগী হবেই বা কীভাবে সে যে কিছুতেই কুমুদিনীর দেহমনের উপরে নিজেরপ্রভুত্ব খাটাতে পারছে না । গল্পের শেষ স্তরে মধুসূদন যখন বিধবা শ্যামার স্থূল দেহ লালসায় নিমজ্জিত করে ফেলে কেননা এখানে যে তার প্রভুত্ব প্রকাশের কোন বাধা নেই কুমুদিনী যখন তার স্বামীর ঘরে ফিরে না আসার মন বেধে নেয় তখনি কুমুদিনীর অন্তঃসত্ত্বার কারণে তাকে ফিরে আসতে হয় । কিন্তু সে যে গৃহে আসল সে গৃহে তার অবস্থান কি হবে ? ভাবী বংশধরের জননীরূপে নাকি শ্যামার পাশে মধুসূদনের অন্যতম ভোগ্যবস্তু রূপে ।
পারিবারিক জটিলতা নাকি জমিদার শ্রেণীর উত্থান-পতন, কোনটা রবীন্দ্রনাথের 'যোগাযোগ' উপন্যাসের মূল উপজীব্য, এই বিতর্কটি একশো বছরের। তবে উপন্যাসে সম্মিলন ঘটেছিল উভয়টির।
উপন্যাসের মূল চরিত্রটি হল এর নায়িকা কুমুদিনী। তার ভাই বিপ্রদাসের অত্যন্ত আদরের বোন। বিপ্রদাস বোনকে ভালোবেসে কখনো বিয়েও করেন নি। বিপ্রদাসের জমিদারি পড়তির দিকে। দেনায় পড়তে লাগল সে।
কুমুর বিয়ের প্রস্তাব আসল রাজাবাহাদুর উপাধি পাওয়া মধুসূদন এর সাথে। যদিও মধুসূদন একটু বয়সী, তবু সামাজিক প্রতিপত্তিতে সে তখন চূড়ায় অবস্থান করছে।
বিয়ে হয় কুমু ও মধুসূদন এর। এদিকে বিপ্রদাসের অবস্থা সম্পর্কে মধুসূদন সবটাই অবগত, এমনকি বিপ্রদাস কর্য করে মধুসূদন এর কাছে। এটা নিয়ে গর্ববোধও করে মধুসূদন।
কুমু আর মধুসূদন এর মনস্তাত্ত্বিক সংঘাত শুরু হতে থাকে তার ভাইকে ঘিরেই। তার ভাই মধুসূদন এর কাছে দেনাগ্রস্থ, এই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি কুমু। দুজনের মানসিক জটিলতা যখন চলছে, এর মাঝে যেন ঘি ঢেলে দেয় শ্যামাসুন্দরী। মধুসূদন এর মৃত ভাইয়ের স্ত্রী। যে সবসময় মধুসূদনকে চেয়ে আসছিল। যদিও মধুসূদন তাকে ওই দৃষ্টিতে কখনো গ্রাহ্য করেনা, তবু কুমুর সাথে সংঘাতে সে মধুসূদনকে ভাত বেড়ে খাওয়ানো আর বাতাস করার আধিক্যেতার সুযোগটি ছাড়ে না।
এদিলে শ্যামাসুন্দরী কুমুর কাছেও বড় বোনসুলভ আচরণ করে না। কখনো কুমু বুঝতেও পারে না, শ্যামার লক্ষ্য ও দূরদৃষ্টি।
একদিকে মধুসূদন এর বিপুল প্রতিপত্তি, অন্যদিকে তার অহমিকা - উপন্যাসটিকে দিয়েছে অদ্ভুত মাত্রা! আর পড়তি জমিদারির অধিকারী বিপ্রদাসের প্রতি কুমুর মায়ার বাঁধন তো ছাড়বার নয়। তার প্রতি ভালোবাসা, বাড়ি যাবার আকুল টান মধুসূদনের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে।
স্বামী-স্ত্রীর মনস্তাত্ত্বিক লড়াই কি সুযোগসন্ধানী শ্যামার হাত ধরে রূপ নিবে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে? এদিকে কুমুর ভাই বিপ্রদাসের জমিদারির উত্থান কি ঘটবে আবারও?
উত্তর খুঁজতে হবে একশো বছরের আলোচিত এই উপন্যাসে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Dipu,
27 Nov 2019
Verified Purchase
উপন্যাসে কুমু চরিত্রটাকে আমার বেশ লেগেছে। সময় প্রেক্ষাপটে কুমু পরিবর্তিত হয়েছে। অনেক মানসিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গিয়েও সে বারবার ফিরেছে এসেছে সংসারধর্মে। মাতৃময়ী মা যেমন সন্তানের কল্যাণার্থে তার তার অনেক ইচ্ছাকে ত্যাগ করে। তেমনি কুমুকেও ফিরতে হয়েছে তার সন্তানের কল্যান কামনায় জমিদারি সামলাতে। তবে তার ধীর স্থির চরিত্র সত্তেও তাকে যে কত জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা বোধকরি বলবার মতো নয়। অনুভব করার মতো। সেই অনুভব থেকেই বলছি ; রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি করা নারী চরিত্রের মাঝে কুমু অনন্য।