ফ্ল্যাপে লিখা কথা মাও সেতুং বলেছিলেন ‘যুদ্ধ হচ্ছে রক্তপাতময় রাজনীতি, আর রাজণীতি হচ্ছে রক্তপাতহীন যুদ্ধ’। স্বাধীনতা পরবর্তী তেইশ বছরের বাংলাদেশ কি তাহলে একটি ভয়াবহ যুদ্ধক্ষেত্র? এটা বলা অত্যুক্তি হবে না। কেননা রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির নামে এদেশে ঘটেছে অসংখ্য লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এদেশের রাজনৈতিক ধারা প্রবাহে নিরন্তর হত্যাকান্ডের ইতিবৃত্ত যে কোন মানুষকেই বেদনার্ত করে। এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের প্রায় সবাই নিহত হয়েছেন ঘাতকের হাতে। বিগত সামরিক ও বেসামরিক সবগুলো সরকারই শাসন টিকিয়ে রাখতে খুন করেছে অসংখ্য প্রতিবাদী মানুষকে। এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশিত হয়েছে হত্যার মাধ্যমে। রাজনৈতিক হত্যাকান্ডকে তাই এদেশের রাজনীতির অন্যতম প্রবণতা হিসেবে চিহ্নিত করতে হচ্ছে। ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনায় নিহতদেরকে আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবর রহমান, তাজউদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কর্ণেল তাহের, সিরাজ সিকদার, খালেদ মোশাররফ, জিয়াউর রহমান স্মরিত হন প্রতিবছর। স্মরণ করা হয় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, আসাদ, মতিউর ডঃ জোহা, সার্জেন্ট জহুরুল হক সহ অনেক শহীদকে। এদের বাইরেও রয়েছে জানা-অজানা আরো অগণিত নিহত মুখ। এক অর্থে তাঁরাই মূল। এঁরাই জীবন দিয়ে সচল রেখেছেন এদেশের রাজনীতির চাকাকে।
সূচিপত্র উপমহাদেশে সশস্ত্র আন্দোলেনের পটভূমি মুক্তিযু্দ্ধে অংশগ্রহণকারী দলসমূহের আন্তঃদ্বন্দ্ব বাংলাদেশ রাজনৈতিক হত্যার সূচনা আওয়ামী লীগের শাসনকাল মোশতাকের তিন মাসের শাসন জিয়াউর রহমানের সামরিক ও বেসামরিক শাসন : ১৯৭৫-৮১ এরশাদের শাসনামল :১৯৮২-৯০ জামায়াতে ইসলামীর হত্যাযজ্ঞ ছাত্র রাজনীতিতে হত্যা ও সহিংসতা সশস্ত্র বাম রাজনীতিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব উপসংহার পরিশিষ্ট
পচিশ বছরের তরুণ আশরাফ কায়সার। বর্তমানে যুক্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রার সঙ্গে। বিচিত্রায় প্রকাশিত। কিছু অনুসন্ধানী ও রাজনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য ইতিমধ্যেই আলােচিত হয়েছেন তিনি। ১৩৯৯ সালে ফিলিপস পুরষ্কার পেয়েছেন সাংবাদিকতায়। জন্ম ঢাকার রায়ের বাজারে। পড়াশুনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকার রাজনীতি।