* মৃত্যুকে বার বার স্মরণ করা * মানুষ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত * মৃত্যুকে স্মরণ করার ফযীলত * অন্তরে মৃত্যুর স্মরণ দৃঢ়মূল করা * উচ্চ আশা এর কারণ ও প্রতিকার * মনে উচ্চ আশা সৃষ্টি হওয়ার এবং এর প্রতিকার * উচ্চ আশার ক্ষেত্রে মানুষের বিভিন্ন পর্যায় * তাড়াতাড়ি আমল শুরু করা এবং দেরি করা থেকে বিরত থাকা * মৃত্যু যন্ত্রণা এবং মৃত্যর সময়ে পছন্দনীয় আমলসমূহ * অনুমান করা প্রকৃতি * মৃত্যুর সময় মানুষ কেন কাউকেও চিনতে পারে না * মৃত্যুকালীন সময়ে পাপীদের বিপদসমূহ * মুমিনের জান কবজকারী ফিরিশতা * মৃত্যু সময় কঠিন অবস্থা * জানকবজকারী ফিরিশতা বান্দার সামনে উপস্থিত হওয়ার কয়েকটি ঘটনা * নবী করীম(স) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের ওফাত * রাসূলুল্লাহ (স)এর ওফাত * হযরত আবু বকর (রা)এর ওফাত * হযরত ওমর ফারুক (রা.) এর শাহাদাত * হযরত উসমান (রা)এর শাহাদাত * হযরত আলী মুরতাজা (রা)এর শাহাদাত * মৃত্যুকালে হযরত মুয়াবিয়া(রা:) এর অবস্থা * আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের ইনতিকাল * হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ) এর ওফাত * কয়েকজন মুসলমান বাদশার মৃত্যুকালীন উক্তি * হযরত সালমান ফারসী (রা:) এর উক্তি * সাহাবা,তাবেঈ ন অন্যান্য বিশ্বশ্রেষ্ঠ মনিষীদের মৃত্যুকালীন উক্তি * মৃতদেহ দেখে শিক্ষাগ্রহন করা * কবরের অবস্থা সর্ম্পকে মহামনীষীদের উক্তি * সন্তানাদির মৃত্যুতে মণীষীদের উক্তি * কবর যিয়ারত * কবরের পাশে কুরআন পাঠ করা যায় * হযরত ওমর ইবনে আবুদল আযীয (রহ) এর ঘঠনা * মৃত মানুষের প্রশংসা করা * মৃত্যু থেকে শুরু করে শিঙ্গা ফুঁক দেওয়া পযর্ন্ত
বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ., সংক্ষেপে ইমাম গাজ্জালী ছিলেন একজন সুফিসাধক ও মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ, যিনি তাঁর দর্শন ও চিন্তাধারা বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর পারিবারিক ব্যবসা সুতা সংক্রান্ত হওয়ায়, সেখান থেকে তার নাম গাজ্জালী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যেহেতু 'গাজ্জাল' শব্দের অর্থ সুতা। ১০৫৮ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি ৪৫০ সাল) ইমাম গাজ্জালী ইরানের খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই তুস নগরীতেই তার শৈশবকাল ও শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি ইসলামের স্বর্ণযুগে জন্ম নেন, যে যুগে শিক্ষা, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে মুসলমানরা অনেক এগিয়ে গিয়েছিলো। একইসাথে বিস্তার লাভ করেছিলো পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শনেরও। ইমাম গাজ্জালী এসকল বিষয়েই দীক্ষা লাভ করেন এবং বিশেষ করে ঐ যুগের বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ আলেম ইমামুল হারামাইন আল জুয়াইনির কাছ থেকে ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। মুসলিম দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, ফিকহশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী । জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থস্থান বাগদাদের সেরা বিদ্যাপীঠ নিযামিয়া মাদ্রাসায় তিনি অধ্যাপনা করেন। তিনি তৎকালীন বাদশাহর দরবারেও আসন লাভ করেন। তবে সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বিষয়ে তীব্র আকর্ষণ থাকায় তিনি জ্ঞান আহরণের জন্য দেশ-বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন ও নানা বিষয় সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান অর্জন করেন। ইমাম গাজ্জালী রহ. বই রচনার মাধ্যমে তাঁর অর্জিত এসকল জ্ঞান মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমূহ-তে তিনি আলোচনা করেছেন সুফিবাদ, ইসলামি দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে, এবং তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা চার শতাধিক। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'আসমাউল হুসনা', 'মিশকাতুল আনোয়ার', 'ফাতাওয়া', 'মিআর আল ইলম', 'হাকিকাতুর রুহু', 'দাকায়েকুল আখবার' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১১১১ খ্রিস্টাব্দে (৫০৫ হিজরি) তিনি নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে মৃত্যবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় একজন মনীষী।