অচেনা নির্জন বলে এমন মনে হল কিনা জানি না। কথাটা কানে এসে ধাক্কা মেরেছে। শুধু কানে নয়, বকে মাথায়ও, সজোরে । যার মুখে শুনলাম, এই মহতে ফিরে তাকিয়ে তাকে ঠিক মানুষ ভাবতে পারছি না । কেমন দ্বিধাগ্রস্ত ভাব । অথচ চাক্ষুষ দেখছি, একটা জলজ্যান্ত রক্তেমাংসে গড়া মানুষ । আমার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে । সিংহলে এসে বেড়াতে বেড়াতে কত না ঘুরলম। রোদ্দুরের লুকোচুরি দেখেছি পাহাড়ের ওপর। গাছের ফাঁকে ফাঁকে আলো- ছায়ার খেলা । কোন পাহাড়ে মেঘ কোন পাহাড়ে কুয়াশা। আবার কোন পাহাড়ে সোনালীর ছটা । এসব রহস্য মনে হয়নি। স্ত্রীলোকটিকে । যতটা মনে হচ্ছে কাছের পথ চলতে চলতে অনেক লোকের সঙ্গে দেখা। কারো মুখে শানেছি এখানকার আবহাওয়া। কারো মখে এখানকার নানা ধর্মে'র লোকের বসবাসের কাহিনী। কারো মখে ইতিহাস । মহাভারতে আছে রাজা যুধিষ্ঠিরের রাজস রযজ্ঞে সিংহলের রাজা নাকি বহু মণিরত্ন নিয়ে গেছলেন। বৌদ্ধশাস্ত্রের মতে খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচশো তেতাল্লিশে বাঙলার বীর সন্তান এখানে আসেন। বিজয় বিজয় সিংহ বিজয়ী অধীশ্বর হয়ে বসেন সিংহলের সিংহ । সিংহাসনে । শনে বুক ভরে উঠেছে আনন্দে। এ আনন্দ সংবাদ এখানকার মাটি এখানকার আকাশ এখানকার বাতাসও শানিয়েছে। শনিয়েছে সমদ্রের নীল ঢেউ ছন্দে ছন্দে দুলে উঠে ! সপ রি-নারকোল বনও ডেকেছে কাছে । অমর বাণীর ঢল নামছে। সবুজ পাতা বেয়ে, গাছ বেয়ে বেয়ে । জঙ্গলে গাছের আড়ালে ঢুকিয়ে পড়তে দেখেছি বেদ্দাসদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও প্রভুকে স্বমর্যাদায় শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রায় এক বছর তিনি অন্ন গ্রহণ করেন নি। দেশপ্রেম আর ভগবদ প্রেমের বিমূর্ত প্রকাশ দেখা যায় তাঁর মধ্যে। স্বাধীনতা উত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পূনর্নির্মাণে হাত দেন তিনি।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরাশান্তির আশ্রয়স্থল মন্দিরগুলো সংস্কার, কোথাও নতুন বিনির্মাণ করে বিপন্ন হিন্দুদের দুরবস্থা দুর করতে বহু মিটিং,বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে সাহায্য সহায়তা চাওয়া,সংবাদ সম্মেলন করা অর্থাৎ এককথায় তাদের মনোবলকে সমুন্নত করার প্রয়াস নিয়ে ছুটেছেন।