নিগ্রো কবিতার ইতিহাস তিন শতাব্দীর ইতিহাস। ১৬শ শতাব্দীর প্রথম দিকে স্পেনের লােকজন অবশ্য কিছু কিছু আফ্রিকান নিগ্রোদের আমেরিকাতে ক্রীতদাস হিসেবে আমদানি করেছিল। কিন্তু যতদূর জানা যায় প্রথম আফ্রিকান নিগ্রো আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছিল ১৬১৯ সালের আগস্ট মাসে ভার্জিনিয়ার জেম্সটাউনে। তারও কুড়ি বছর পরে নতুন ইংলন্ডে আরও নিগ্রো ক্রীতদাস। আমদানির প্রথা শুরু হয়ে ক্রমশ কৃষ্ণক্রীতদাসের সংখ্যা বাড়তেই থাকে অধিকৃত কলােনিগুলিতে। ১৬৬২ সালে ভার্জিনিয়ার আইনে নিগ্রোদের ক্রীতদাস বলে বর্ণিত করা হয়েছিল প্রথম। ১৬৬৪ সালে মেরিল্যান্ড আইন স্পষ্টতই নিগ্রোদের আজীবন ক্রীতদাস হিসেবে বাধ্যবাধকতা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে। এবং সেখানেই সাত বছর পরে আর একটি আইন প্রণয়ন করে বলা হয় যে আজীবন ক্রীতদাস থাকার নিয়ম খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেও বদলাবে না। মুক্ত অঞ্চলগুলিতে ক্রমাগত প্ল্যানটেশন বাড়তে থাকার ফলে ক্রীতদাসের সংখ্যাও ক্রমাগত বেড়ে চলতে থাকে, কারণ অকল্পনীয় মুনাফা লােটার জন্য বিনামূল্যে শ্রমিক পােষা প্রয়ােজন। তামাক, চাল, নীল, আখ এবং তুলাের চাষের প্রয়ােজনে ১৭৯০ সালে দেখা গেল ক্রীতদাসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০০,০০০ জন, তার দশ বছর পরে ৯০০, ০০০ জন, ১৮২০ সালে ১.৫ মিলিয়ন, ১৮৪০ সালে ২.৫ মিলিয়ন, গৃহযুদ্ধের সময়ে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ মিলিয়ন। এদের সকলেরই আজীবন ক্রীতদাস হয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া মুক্ত নিগ্রোদের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। ১৮৬০ সালে মুক্ত নিগ্রোদের সংখ্যা ছিল ৫০,০০০।
জন্ম: নভেম্বর ২৫, ১৯৩৪ সালে জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি। বাঙালি-ভারতীয় এই কবি বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বিশেষভাবে পরিচিত এবং আলোচিত ছিলেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ এর জয়নগর - মজিলপুরের দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম বামানাথ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার কাশিমবাজার স্কুলে পড়তেন। দারিদ্রের কারণে তিনি স্নাতক পাঠ অর্ধসমাপ্ত রেখে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাড়েন এবং সাহিত্যকে জীবিকা করার উদ্দেশ্যে উপন্যাস লেখা আরম্ভ করেন। কলেজজীবনে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রথম উপন্যাস লেখেন কুয়োতলা। কিন্তু কলেজ - জীবনের বন্ধু সমীর রায়চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বনাঞ্চল - কুটির চাইবাসায় আড়াই বছর থাকার সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন সফল লিরিকাল কবিতে পরিণত হন। একই দিনে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলার অভ্যাস গড়ে ফেলেন তিনি। শক্তি নিজের কবিতাকে বলতেন পদ্য। ভারবি প্রকাশনায় কাজ করার সূত্রে তার শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজ বের হয়। পঞ্চাশের দশকে কবিদের মুখপত্র কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার উপন্যাস অবনী বাড়ি আছো? দাঁড়াবার জায়গা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে অনেক ফিচার লিখেছেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'হে প্রেম, হে নৈশব্দ' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয় দেবকুমার বসুর চেষ্টায়। ১৯৭০ - ১৯৯৪ আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি করেছেন। ১৯৬১ সালের নভেম্বরে ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলন - এর জনক মনে করা হয় তাঁদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম । সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার সহ তিনি একাধিক পুরস্কারে সন্মানিত । তিনি মার্চ ২৩, ১৯৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।