"মা হওয়া কি মুখের কথা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: জীবনের ধারা অক্ষুন্ন রাখাই জীবের ধর্ম। মানুষ অমর না হলেও সকলেই বংশের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চায়। তাই সন্তান মানুষের এত কাম্য এবং সন্তানহীনতা এত বেদনা দায়ক। সন্তান ধারণ এবং প্রসব একটি স্বাভাবিক জৈব প্রক্রিয়া। কোন চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এটা সম্ভব। কিন্তু সামাজিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন এযুগে হয়েছে। জীবনের অনেক স্বাভাবিক ছন্দ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। গর্ভ ধারণ এবং সন্তান প্রসব এর মধ্যে অন্যতম, এছাড়া মেয়েদের বিয়ের এবং সন্তান ধারণের বয়স এখন অনেক বেড়ে গেছে। এইসব কারণে সন্তান ধারণ ও প্রসবের মত স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও চিকিৎসকের সাহায্য লাগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (W.H.O) হিসাবে প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মহিলা মাতৃত্ব জনিত কারণে মারা যান, এর মধ্যে ৯৯ পার্সেন্ট উন্নয়ণশীল দেশের, এর অন্যতম কারণ গর্ভবস্থায় উপযুক্ত যত্নের অভাব। বর্তমানে আমাদের দেশে মাতৃত্ব জনিত কারণে মৃত্যুর হার প্রায় এক হাজার প্রসবে চার জন এবং শিশু মৃত্যুর হার হাজার প্রতি ৮০ জন, এই হার ২০০০ সালে যথাক্রমে ২ এবং ৬০ করা আমাদের লক্ষ্য। বর্তমানে বাঙালী যৌথ পরিবার এখন আর প্রায় অবশিষ্ট নেই। এখন প্রায় সবই ছােট একক পরিবার। এখানে। অনভিজ্ঞ ভাবী মা কে সঠিক পরামর্শ দেবার কেউ নেই। এই সব কারণে গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং শিশুর যত্নর বিষয়ে সঠিক তথ্য সহজ ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে এই বই পড়ে ভাবী মা কিছু জানতে পারেন।
Dr. Subroto Sen ১৯৫৫ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশকরেন। পিজিহাসপাতালে মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগে কাজ করে, ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে নানা প্রতিষ্ঠানে কাজ শিখে ১৯৬০ সালে এডিনবরার এম আর সি পি হন। দেশে ফিরে ১৯৬১ সাল থেকে ইন্সটিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে স্নাতকোত্তর শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। মাঝে কিছুদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতার পর আবার পুরানো প্রতিষ্ঠানেই ফিরে আসেন। দীর্ঘ তিরিশ বছর শিক্ষকতার পর এস এস কে এম-এর প্রফেসর ডাইরেক্টর অফ মেডিসিন হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। কর্মজীবনে শিক্ষক এবং চিকিৎসক হিসাবে সমাজের সর্বস্তরে সুনাম অর্জন করেন। কলকাতা ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মেডিসিন পরীক্ষায় পরীক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। পরিদর্শক হিসাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা মেডিক্যাল কলেজও পরিদর্শন করেছেন। দেশ-বিদেশের মেডিক্যাল-পত্রপত্রিকায় বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশ ছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্য পত্র-পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিষয় লেখার সময় করে ডাঃ সুব্রত সেন।