প্রশ্ন আর উত্তর ‘টমি! এবার উঠে পড়!' বাবার বাজখাঁই হাঁক শোনা গেলো। টমির আধভাঙা ঘুম এবার পুরোপুরি ভেঙে গেলো। গাছের পাতার ভেতর দিয়ে আসা রোদের আলোর দিকে তাকালো সে। তড়াক ক’রে বিছানা ছেড়ে উঠেই তার ছুরির খোঁজ করলো। ছুরি ছাড়া টমি কখনো ঘুমোতে যায় না। সে তো মেরুনের ছেলে। মেরুন লোকেরা কখনো তাদের ছুরি ছাড়া থাকে না। ‘খোকা, উঠছিস?’ আবার বাবার গলা। ‘এই আসছি, বাবা।' টমি তাড়াতাড়ি জবাব দেয়। এবার সে তাড়া করলো। আজ তার জীবনের এক মস্ত বড়ো দিন : আজ তার পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উৎরোতে পারলেই সে ‘কিশোর যোদ্ধা' হবে। আজ তার জন্মদিনও বটে। আজ চোদ্দ বছর বয়স হ'লো টমির। সে তাড়াতাড়ি বিছানাপত্র টানটান ক'রে গুছিয়ে রাখলো। বাবার নিজের হাতে তৈরি করা তাদের এই ছোটো বাড়ি। মোট তিনখানা ঘর তাদের। এই ঘরটা টমির নিজের। টমি ঘর থেকে বেরিয়েই পাহাড়ের পেছনে ঝিলের দিকে ছুটলো। চটপট জামাপ্যান্ট খুলে ঝুপ ক'রে জলে ঝাঁপ দিলো সে। উঃ, কী ঠাণ্ডা জল! হাত-পা যেন দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। বেশি স্নানের সময় নয় আজ ৷ তাড়াতাড়ি উঠে এসে গা-হাত-পা মুছে নিলো ঘ'ষে-ঘ'ষে। আর অমনি বেশ শুকনো ও গরম-গরম লাগছে এখন। সব মেরুন ছেলেরা যেমন চওড়া ট্রাউজার পরে টমিও তাই প'রে নিলো। বুকের উপর দিয়ে বেল্ট ঝুলিয়ে দিলো, তাতে ছাগলের চামড়ার থলে বাঁধা। ঐ থলেয় তার ছুরিটাকে ঠিক খাপে খাপে ঢুকিয়ে নিয়ে গ্রামের ভেতর ছুটলো টমি।