ট্রিনিডাড ! দক্ষিণ অ্যামেরিকার একেবারে মাথায়। সমুদ্র সৈকতের যে জায়গাটাকে বলে ‘ড্রাগনস মাউথ' ঠিক সেইখানটা । সমুদ্রের ধারে বন, তার কোলে সার সার নারকেল গাছ তারপর ষাট ফুট চওড়া বেলাভূমি৷ বেলাভূমির বালিতে সমুদ্রের ঢেউ এসে শ্রবণসখ আওয়াজ করে আছড়ে পড়ে তারপর বেলাভূমি জুড়ে মডার্ন আর্ট রচনা করে আবার ফিরে যাচ্ছে। দিনরাত্রি এই শিল্প সৃষ্টি আর প্রকৃতির সঙ্গীত চলেছে দিনের পর দিন রাত্রির পর রাত্রি । রাত্রি শেষ হয়ে আসছে । আকাশে আংশিক চাঁদ। ফিরে জ্যোৎস্না, পাশে বন, এদিকে সমুদ্র, সব মিলিয়ে যেন বড় পর্দায় সিনেমার ছবি। তারপর সিনেমার ছবিতে যেমন দেখা যায় সমুদ্রের ধার দিয়ে ভিজে বালির ওপর পায়ের ছাপ ফেলে একজন দীর্ঘকায় মানুষ হে টে আসছে ঠিক তেমনি ভাবেই একজন লোককে হে°টে আসতে দেখা গেল । লোকটি আর আধ ঘন্টা পরে এলেও পারত তাতে তার এক আগন্তুকের সঙ্গে দেখা করতে অসুবিধে হত না কিন্তু সে ভাবল যদি শত্রুপক্ষ তার আসার খবর পেয়ে ওৎ পেতে থাকে তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে । শত্রুকে ধোঁকা দেবার জন্যে আগে যাওয়াই ভাল । লোকটির পরনে ঘোর সবুজ রঙের স্ল্যাকস্, গায়ে সবুজ ব্যানলন, কাঁধে একটা জ্যাকেট ঝুলছে। কোমরে একটা অটোম্যাটিক রিভলভার গোঁজা আছে ।