"ফ্লাইং সসার মিস্ট্রি" বইয়ের কিছু অংশ: আরম্ভ সেই ১৯৪৭ সালে। কেনেথ আরনল্ড, মাকিন ব্যবসায়ী। নামডাক আছে ওপরমহলে প্রভাব আছে। নিজের প্লেন আছে। গাড়ি যে কখানা আছে কে জানে। একদিন নিজের প্লেন চালিয়ে দূরে এক শহরে চলেছেন। কোম্পানির ডিরেকটরদের জররী মিটিং আছে। আকাশ পরিষ্কার রোদ ঝলমল করছে। দরে মাউন্ট রেনিয়ারের মাথায় তুষারের গুপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আকাশে ওগুলো কি? প্রচণ্ড স্পিডে সার বেধে চলেছে ? চায়ের কাপের বিরাট সাইজের কয়েকখানা ডিশ কে যেন উপড় করে দিয়েছে আর সেইগুলো বাঁই বাঁই করে ঘুরতে ঘুরতে, তীব্র গতিতে দূরে তাকাশে মিলিয়ে গেল ! কেনেথ আরনল্ড বিস্ময়ে হতবাক! এগুলি কি হতে পারে ? পথিবীর বিভিন্ন দেশে ও নিজের দেশে নতুন ধরনের কি প্লেন তৈরি হল তার খবর তিনি রাখেন কিন্তু এ ধরনের কোনো বিমান তৈরি হয়েছে, এমন কোনো খবর তিনি জানেন না। কেনেথ আরনল্ড সাংবাদিকদের কাছে একটা বিবতি দিলেন। সেই বিবৃতি পরের দিন খবরের কাগজে ছাপা হল। তাঁর কথা কেউ বিশ্বাস করল, কেউ করল না অথচ কেনেথ আরনন্ডের কথা উড়িয়েও দেওয়া যায় না, তাঁর কথার ওজন আছে। বৈমানিক মহলে, পত্রপত্রিকায় ও বন্ধুমহলে বা ডিনার টেবিলে এ নিয়ে কিছু, আলোচনা হল বৈকি। ব্যাপারটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফ্লাইং সসার নামকরণটা তখনই হল। কেউ বলল আরনণ্ডের দষ্টিবিভ্রম হয়েছিল, কেউ বলল, ঐ সসারগুলি অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। কিন্তু ব্যাপারটা রহস্যজনক। সীমাহীন আকাশে তো কত রহস্য থাকতে পারে! ফ্লাইং সসার নিয়ে আলোচনা ক্রমশঃ ক্ষীণ হতে হতে একদিন প্রায় থেমে গেল। এক বৎসর যেতে না যেতেই মার্কিন রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ, ডিনার টেবিল আবার মুখরিত হয়ে উঠল। এবার সকলেরই সরে বেশ উচ্চ ও উত্তেজিত.....