"টাঁড় বাংলার উপাখ্যান" বই এর পিছনের ফ্ল্যাপের লেখা এ-রাজ্যের এক বিহার-সীমান্তবর্তী জেলায় কিছু মাটি দোঁয়াশ বা বেলেমাটি। কিছু মাটি কাঁকুরে, রুক্ষ, টাঁড়ভূমি। তার জনজীবনও মিশ্র প্রকৃতির। সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে মিশে আছে সাঁওতাল, লোধা, মুন্ডা, ওঁরাও ইত্যাদি আদিবাসী। ফলে জেলার এক-একটি জনপদ এক-একরকম। প্রতিটি জায়গার রাজনৈতিক আবর্তনও ভিন্ন। গত দু' দশকের গ্রামবাংলার চেহারাও বদলে যাচ্ছে দ্রুত। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় যেমন ঘটে যাচ্ছে আমূল পরিবর্তন, তেমনই ভূমিসংস্কারের প্রভাবে মালিকপক্ষ ও বর্গাদারদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন টানা-পোড়েন। জেলার এই পরিবর্তিত অবস্থানের ধারাবাহিক ইতিহাস নিয়েই এই উপন্যাসের কাঠামো। একদিকে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর মজে আসা খাত উপচে যায় অতিবৃষ্টিতে। বন্যার জলকে কেন্দ্র করে ষড়রং এলাকায় ঘটে যায় দু'পক্ষের ভেতর তুমুল সংঘর্ষ। অন্য দিকে পঞ্চরঙে রাজকিশোর সিংহ সাহসরায় নামের এক দাপুটে ভূস্বামীর সঙ্গে জমির দখল নিয়ে লড়াই শুরু হয় তরুণ লোকাল কমিটির সেক্রেটারির। আর একদিকে এক গ্রাজুয়েট লোধা মেয়ের বড় হওয়ার লড়াই। উপন্যাসটি প্রকাশিত হবে ট্রিলজি হিসেবে, আঠারো পর্বের পরিসরে। ভারতীয় মহাকাব্যের আঙ্গিকে । গ্রামবাংলার সর্বত্রই এখন দুই বা দুয়ের অধিক রাজনৈতিক পক্ষ যুযুধান। ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য থেকেই এই উপন্যাসে একে-একে উঠে আসবে এ-রাজ্যের আর্থ-সামাজিক অবস্থান।