"আমার ভুবন" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ‘পৃথিবী ভাঙছে পুড়ছে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে তবুও মানুষ বেঁচেবর্তে থাকে মমত্বে ভালবাসায় সহমর্মিতায় : এমন উক্তি পর্দায় ভেসে ওঠে আমার ভুটন নামের যে ছবির শুরুতে তার স্রষ্টার নাম—মৃণাল সেন। মৃণাল সেন এমন একজন। চলচ্চিত্রকার যার নির্মাণশৈলী দর্শকদের বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে সচেতন চোখে দেখতে শেখায়, তারই সঙ্গে তাঁদের ঘটে শিল্প বােধের উত্তরণ। এমনই শিল্পসত্যের বাস্তবতার পথে পৌছে যাওয়া আমার তুনে ছবিতে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের এক গ্রামে আরবি নামধারী বাঙালি মানুষজনদের 'বাস। সেই গ্রামেরই ‘সখিনা’ নামের এক নারীর ভুবন দর্শন। এ ভুবন নারীর নিজের উক্তিতে ‘আমার ভুবন। হাসিকান্না হিরাপান্নার এই জীবনকথা আমার ভুল -এ সখিনাকে কেন্দ্রেরেখে দাম্পত্যমাতৃত্ব-ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে মানুষেমানুষে আত্মিক সম্পর্কগুলাে উঠে এসেছে। কোনও সম্পর্কই চিরদিনের মতাে শেষ হয়ে যায়না, ‘আমিনা বিবির দেড় টাকা দিয়ে গড়ানাে নথ'-এর মতােই তা সাক্ষ্যবহন করে আজীবন ; মাটির টানে মানুষকে একদিন-না একদিন ফিরে আসতেই হয় ? ভুন ছবি নীরবে সে কথাও বলে। সাম্প্রতিক কালের ছবি নিয়ে গবেষণাধর্মী এমন একটি গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভবত এই প্রথম। প্রকাশনার পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ চিত্তে এ-কথাটুকুই জানাতে চাই।