"তাওহীদের মূল নীতিমালা"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: তাওহীদের শ্রেণীবিন্যাস তাওহীদ (299)অর্থ ‘এক করা’, ‘এক বানানাে’, ‘একত্রে যুক্ত করা, ‘একত্রিত করা’, ‘একীকরণ’ (unification) (কোন কিছুকে এক করা), ‘একত্বের। ঘােষণা দেওয়া’ (asserting oneness), বা ‘একত্বে বিশ্বাস করা। তাওহীদ (29)শব্দটি আরবী ‘ওয়াহাদা’ (29) ক্রিয়ামূল থেকে গৃহীত, যার অর্থ ‘এক হওয়া’, ‘একক হওয়া’ বা ‘অতুলনীয় হওয়া’ (to be alone, unique, singular, unmatched, without equal, incomparable)। তাওহীদ নামক এ পরিভাষাটি আল্লাহ্র একত্বের (তাওহীদুল্লাহ) ব্যাপারে ব্যবহৃত হলে তা দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সকল প্রকার প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ ক্রিয়াকলাপ তথা ইবাদাতে তার একত্ব উপলদ্ধি করা ও তা নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্ষুন্ন রাখা বুঝায়, অর্থাৎ যা কিছু আল্লাহর জন্য সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত সে সব ক্ষেত্রে আলাহর একত্ব অক্ষুন্ন রাখা। এই অর্থ তাওহীদুল্লাহ্র সবকটি শ্রেণীকেই অন্তর্ভুক্ত করে রাখে। তাওহীদের এ বিশ্বাসটি মূলত এ রকম যে, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এক, তাঁর কর্তৃত্বে ও প্রভুত্বে (রবুবিয়্যাত) কোন শরীক বা অংশীদার নেই, তার যাত, সত্তা ও গুণাবলীতে (আসমা ওয়াস-সিফাত) কোনই সদৃশ নেই তথা তিনি একক ও অতুলনীয় এবং ইলাহরূপে সকল প্রকার ইবাদাত পাওয়ার যােগ্য হিসেবে তথা ইলাহ হওয়ার ক্ষেত্রে তার কোন J.M. Cowan, The Hans Wher Dictionary of Modern Written Arabic, (Spoken Language Services Inc., New York, 3rd ed., 1976), p. 1055. ২ ‘তাওহীদ’ শব্দটি কুরআন ও রাসূলের হাল হাদীছের কোথাও উল্লেখিত হয় নি। যা হােক, রাসূল হােত)যখন মুআয ইবনে জাবাল (-কে ৯ হিজরি সনে ইয়েমেনের গভর্নর হিসেবে এ বাণী সহকারে প্রেরণ করেন যে,‘আপনি ইহুদী ও খ্রিস্টানদের নিকটে প্রেরিত হচ্ছেন, তাই প্রথমেই তাদেরকে শুধুমাত্র আল্লাহর একত্বের (ইউওয়াহহিদুল্লাহ) দিকে আহ্বান জানানাে উচিত হবে।' [এ হাদীছটি ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত এবং বুখারীকর্তৃক সংগৃহীত; মুহাম্মাদ মুহসিন খান, ছহীহ আল-বুখারী, (আরবী-ইংরেজি),(রিয়াদ: মাকতাবাহ আর-রিয়াদ আল-হাদীছা, ১৯৮১) খন্ড ৯, পৃ. ৩৪৮-৩৪৯, হাদীছ নং ৪৬৯; মুসলিম, আব্দুল হামিদ সিদ্দিকী, ছহীহ মুসলিম, (ইংরেজি অনুবাদ), (লাহাের: শাহ মুহাম্মদ আশরাফ পাবলিশার্স, ১৯৮৭), খণ্ড ১, পৃ. ১৪-১৫, হাদীছ নং ২৭। এই হাদীছে ব্যবহূত ক্রিয়াটির বর্তমান কাল থেকেই ক্রিয়া বিশেষ্য তাওহীদশব্দটির উৎপত্তি, যা রাসূল ) কর্তৃক ব্যবহৃত হয়েছে।
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস-এর জন্ম জ্যামাইকার কিংস্টনে। বেড়ে উঠেছেন কানাডার টরন্টোতে। সেখানেই ১৯৭২ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মাদীনাহ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক অনুষদ থেকে বিএ ডিগ্রি (১৯৭৯) অর্জন করেন। এরপর বিয়াদের 'বাদশাহ সাউদ ইউনিভার্সিটি' থেকে আকীদাহর ওপর অর্জন করেন এমএ ডিগ্রি (১৯৮৫)। ১৯৯৪ সালে 'ওয়েলস ইউনিভার্সিটি' থেকে ইসলামি ধর্মতত্ত্বের ওপর পিএইচডি করেন। তার পিএইচডি'র বিষয় ছিল "The Exorcist Tradition in Islam"। সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও এগুলোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে 'প্রেস্টন ইউনিভার্সিটি-আজমান, ইউএই', 'কাতার গেস্ট সেন্টার, দোহা, কাতার', 'নলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ', 'অমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, সুদান', 'প্রেস্টন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ, চেন্নাই, ভারত', 'ইসলামিক স্টাডিজ অ্যাকাডেমি, দোহা, কাতার'। ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার সুবাদে জর্দানিয়ান পাবলিকেশন কর্তৃপক্ষ ড. বিলাল ফিলিপসকে "The 500 most Influential Muslims"-এর তালিকাতে স্থান দেয়। এ ইউনিভার্সিটিতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষ বিনামূল্যে ডিপ্লোমা এবং টিউশন ফি মুক্ত ব্যাচেলর অব আর্টস প্রোগ্রামে পড়াশোনা করতে পারে।