"কীভাবে সেরাদের সেরা হওয়া যায়" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ইতিবাচক মনােভাব, চিন্তা পরিকল্পনা আপনার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে। সীমাহীন আত্মবিশ্বাস জাগায় অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করার শক্তি দেয়। যদি আপনি নিজেকে ভালাে মনে করেন- ভালাে কিছু প্রত্যাশা করেন, . তবে অবশ্যই আপনি, তাই হবেন। আমাদের প্রত্যেকের কাছে প্রতিদিন প্রত্যুষে খুশি আর আনন্দ বার্তা এসে উপস্থিত হয়। আমরা যদি ইতিবাচক মনােভাবের দ্বারা নিজেদের পরিপূর্ণ করি তবে খুশি ও আনন্দের বার্তা আমাদের আশীর্বাদ জানায়। এর আদলেজারা নিজেদের পরিচালিত করতে পারি। ইতিবাচক মনোভাব শুধু আপনাকেই নয়- আপনার দ্বারা অপরের মনে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস উৎপাদন করে এবং নিজেকে তা উপলব্ধি করতে শেখায়। আত্মবিশ্বাস লােকের মনে নতুন সাহস এবং শক্তি উৎপন্ন করে, ব্যক্তিকে কিছু করার প্রেরণা জোগায়। ফলে তারা প্রায় অসম্ভব কাজকে সম্ভব করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ওঠে। জীবনে যত জটিলতা ও সংঘর্ষই আসুক না কেন সর্বদাই ইতিবাচক মনােভাব নিয়ে চলুন। এর প্রতিক্রিয়া আপনার মনকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে- অটল ও অবিচল ব্যক্তিত্বের জন্ম দেয়। | জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন উপায় ও কৌশল অবলম্বন করতে হয় কঠোর শ্রম ও দৃঢ়-সংকল্প ছাড়া আমাদের কোন উদ্দেশ্যই সফল হয় না। এই বইটি বাস্তবতার আলােকে আপনাকে সফল ও সমৃদ্ধশীল জীবনের সন্ধান দেবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।