"রেলকৌতুকী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: রেল এমনই এক বিষয় যা সূচনাকাল থেকেই মভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রেলকে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবন-যাত্ৰা ভাবা যায় না—এককথায় অচল। হাজার হাজার লােকের রুজিরােজগারের প্রশ্ন নিত্য আবর্তিত হচ্ছে রেলের চাকার সঙ্গে নিত্যযাত্রী এইসব মানুষেরা নিত্যযাত্রার যন্ত্রণা ভুলে হাসতে জানেন বলেই নিজেদের ‘ডেলিপাষণ্ড’ বলে পরিচয় দেন। ডেলিপাষণ্ড’ এই শব্দবন্ধের মধ্যে ধরা পড়েছে রেলযাত্রার কষ্ট ও আনন্দের যুগপৎ অভিব্যক্তি। সাহিত্য ও সাময়িকপত্র থেকে উপাদান সংগ্রহ করে লেখক সেকাল ও একালের, দেশি ও বিদেশি রেলযাত্রীর সরস অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন গল্পচ্ছলে, বৈঠকি মেজাজে। শুধু সাধারণ মানুষ নন, মনীষী সাহিত্যিক ও মহাপুরুষদের জীবনী থেকে উদ্ধার করেছেন বুদ্ধিদীপ্ত রেল-কৌতুকের অজস্র উপকরণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একালের খ্যাতনামা ব্যঙ্গচিত্রী দেবাশীষ দেবের আঁকা পাতা-জোড়া অনন্য সুন্দর অলংকরণ। রেল বিষয়ক নানা অজানা তথ্য এবং হাস্যরসের মনােজ্ঞ বিবরণে বইটি বাংলা সাহিত্যের সরস রচনার সমৃদ্ধ সম্ভারে এক অভিনব সংযােজন। ভ্রমণসঙ্গী হিসাবে বইটির সঙ্গ পেতে রঙ্গপ্রিয় রেলযাত্রী মাত্রেই উৎসুক হবেন।
Prodosh Chowdhury-র জন্ম ১৯৫৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাশতে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক। বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার সলিল চৌধুরীর ভ্রাতুপুত্র। পিতার (শ্রীপতি চৌধুরী) আকস্মিক মৃত্যুর পর পিতার কর্মস্থল রেলে চাকরিলাভ। বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে দীর্ঘদিন কবিতা, প্রবন্ধ ও সমালোচনামূলক লেখা লিখছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: সংকেত ও সমান্তরাল। প্রকাশিত পুস্তক: ভারতীয় রেল অর্থনীতি ও সাফল্য। অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে নিভৃতে শিল্প-সাহিত্য নিয়ে আলাপ-আলোচনা পছন্দ করেন।