আমাদের সমাজে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকেই সাধারণ মানুষ বিশেষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে। যাঁরা ধর্মপ্রাণ তাঁরা সাধারণত অন্যায় ও অপকর্ম থেকে বিরত থাকেন এবং অন্যকেও বিরত থাকতে উৎসাহিত করেন। তাঁরা পরিচালিত হন ধর্মের শ্রেয়বোধ দ্বারা। নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী একজন ধার্মিকের সঙ্গে কপট ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মান্ধ ও কোনো মৌলবাদীর তুলনা হয় না। দীর্ঘকাল যাবৎ আমাদের সমাজে কমবেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। ও-জাতীয় সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের অথবা সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের-অজ্ঞ, ভণ্ড, ধর্মান্ধ মোল্লা, পীর বা ধর্মব্যবসায়িদের নয়। সুসজ্জিত মৌলবাদী রাজনৈতিক দল তো দেশে রয়েছেই, সাম্প্রতিককালে তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আর এক শ্রেণীর মোল্লা বা পীর যারা রাজনীতির নামে রাজপথে নেমে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে তারা রাজপথে আস্তানা পেতে জিকির করে। ধর্মীয় বিদ্যাবুদ্ধি এদের নেই, তাই যখন মনে যা আসে তাই করে এবং করে তা ধর্মের নামেই। অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি এদের হৃদয় বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা টিকিয়ে রাখার জন্যে এরা যেনো সত্যিই জেহাদ ঘোষণা করেছে।
জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর এলাচিপুর, মানিকগঞ্জ। শিক্ষা : মাধ্যমিক : ঝিটকা উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ (১৯৬৩); উচ্চ মাধ্যমিক : ঢাকা কলেজ (১৯৬৫); স্নাতক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৯); ডিপ্লোমা (সাংবাদিকতা) : পশ্চিম জার্মানি (১৯৭৯); জার্মান ভাষায় প্রশিক্ষণ : বার্লিন (১৯৮৫)। পেশা : সাংবাদিকতা। বার্তা সম্পাদক (অবসরপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।