"মহাজ্ঞানী চাণক্যের শ্লোক ও জ্ঞানতত্ত্বের বিশ্লেষণ"বইটির ১ম ফ্লাপের কিছু কথা: প্রাচীন ভারতের জ্ঞানতাপস, সুপণ্ডিত, বিদ্যাগুরু, খ্যাতিমান কূটনীতিজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও শাস্ত্রভজ্ঞ পণ্ডিত গােষ্ঠীর মধ্যে মহাজ্ঞানী চাণক্যের নাম সবিশেষ উল্লেখযােগ্য। মানব জীবনের নানাদিক ও ব্যবহারিক নীতিশিক্ষা সম্পর্কে আলােকপাত করতে গেলে সর্বাগ্রে প্রায়শই চাণক্যের নীতিবাক্যই এসে যায়। বিদ্যাগুরু, জ্ঞানতাপস চাণক্য মানবজীবনের গতি, প্রকৃতি, উত্থান-পতনের নানা দিক সম্পর্কে দীর্ঘ গবেষণার পর যে নীতিশাস্ত্রের অবতারণা করেছেন তার নাম চাণক্যসূত্রম্ । তাঁর রচিত এ গ্রন্থে রয়েছে। জ্ঞানতত্ত্বের ওপর নানামুখি শ্লোক যা মানবজীবনের সর্বদিক সম্পর্কে সুবিস্তৃত ও সুবিন্যস্ত জ্ঞানগর্ব তত্ত্বালােচনায় পরিপূর্ণ। এ গ্রন্থে আমি মূলত চাণক্য-সূত্রমের ১০৮ শ্লোকের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে নিজ মতামতের সাথে সম্পৃক্ত মানব জীবনের নানা দিক সম্পর্কে আলােচনা করেছি এবং নিজের মতামতকে প্রকাশের পাশাপাশি চাণক্যের জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করেছি। যার মাধ্যমে পাঠক-ভক্তগণ নিজের জীবনের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে উন্নতির শীর্ষে আরােহণ করতে সক্ষম হবেন।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।