ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ‘বিউটি’-শব্দটির অভিধানিক অর্থ-যে সব গুনের সমন্বয় ইন্দ্রিয়(বিশেষ, চোখ, কান) বা নৈতিকাত বা বুদ্ধিবৃত্তির কাছে আনন্দময় বলে প্রতিভাত হয়; সৌন্দর্য, শ্রী, রূপ, লাবণ্য, ছটা। বর্তমান বিশ্বে আধুনিক মানুষের মধ্যে সৌন্দর্য চর্চা একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে।যে রূপবতী তার মধ্যে রূপ ধরে রাখা এবং যার নেই তার অর্জন করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সৌন্দর্য সবসময় চর্চাতেই বৃদ্ধি পায়। সৌন্দর্য শুধু ত্বকের নান্দনিকতাই নয় এর সাথে জড়িয়ে আছে আরো অনেক কিছু। যেমন খাদ্যভ্যাস, ব্যায়াম, পরিমিত ঘুম-এগুলো সবই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, বিষন্নতা দূর করে, স্বাস্থ্য সঠিক রাখে।নিজেকে মোহনীয় করে গড়ে তোলা এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সব মানুষরই কাম্য। এজন্য খুব বেশী অর্থ ব্যয় করতে হয় না। প্রয়োজন শুধু নির্দিষ্ট চর্চা। আর একাজটি সহজ করে দিয়েছেন টমি মিয়া। এই বইয়ে এমন কিছু গাইড লাইন দেয়া হয়েছে যা একজন রমনীকে সৌন্দর্য এবং ফ্যাশন সচেতনই করবে না তার রূপ যৌবন অটুট রাখতেও সহায়তা করবে।
ভূমিকা সৌন্দর্য এখন কেবল ত্বকের নান্দনিকতায়ই সীমাবদ্ধ নয়। হাসিখুশি থাকাটাও বেশ প্রয়োজনীয়। পরিমিত খাদ্যাভাসও বেশ জরুরী। প্রাত্যহিক খাদ্য তালিকায় ফলমূল, শাকসব্জি এবং বিশুদ্ধ পানি থাকাটাও বাঞ্চনীয়। দৈনিক ব্যায়াম এবং পরিমিত ঘুম ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে। ত্বকের পরিচর্যার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে এমন কোনো কথা নেই, এটা তেমন সময় সাপেক্ষও নয়। নিজের ত্বক ও চুলের ধরণ বুঝে সে অনুযায়ী মেকআপ ও পরিচর্যা নিলেই যথেষ্ট। আপনার ত্বক ও চুলের সার্বিক পরিচর্যার মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিত্বকে সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টাই এই বইয়ে করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাচ্যের মেয়েরা তাদের নিখুঁত ও অনন্য সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। হাতের মেহেদী থেকে শুরু করে চুলের খোঁপা সবকিছুই মেয়েদের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। হাতের মেহেদী থেকে শুরু করে চুলের খোঁপা সবকিছুই মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভারতবর্ষে মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন পন্থা শিখানো হয়। এবং যুগে যুগে এসব পন্থাগুলো মেয়েরা তাদের মায়েদের, দাদী-নানীদের থেকে শিখে আসছে। সময় বদলে গেছে। প্রযুক্তিতে মানুষ তার সঙ্গী করে নিয়েছে সৌন্দর্য সাধনাতেও। দাদী-নানীদেরচিরায়ত রূপসৌন্দর্যের পদ্ধতিগুলোকো ব্যবহার করা হচ্ছে আরো আধুনিক পদ্ধতিতে, সৌন্দর্যের মূল সূত্র হিসেবে। এই বইটিতে আমি চিরকালীন সৌন্দর্যের সূত্রকে আধুনিত পদ্ধতিতে ব্যবহার উপযোগী করে তুলে ধরেছি। আমি চাই সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। -টমি মিয়া-
সূচিপত্র শীতে শুল্ক ঠোঁট রুক্ষ চুল মিশ্র ত্বকের যত্ন মোহনীয় ত্বক ব্রন থেকে মুক্তি চুলের চুলচেরা ঘরোয় ফেশিয়াল-স্টেপ বাই স্টেপ সুন্দর হাশি সজীব নিঃশ্বাস প্রাকৃতিক রূপচর্চা শরীরের দূর্গন্ধ অবাঞ্চিত লোম বিষন্নতা দূর করুন কলার ছলাকলা ডায়েটিং এবং ফিটনেস ফ্যাশন এবং স্টাইল ম্যাসেজ সৌন্দর্য দাদীমার টেপস্
বাংলাদেশী বংশােদ্ভূত শেফ টমি মিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্র ব্রিটেনের এডিব্ৰায়। এখানে রয়েছে তার মালিকানাধীন পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘রাজ রেস্টুরেন্ট' এবং অরিজিনাল রাজ হােটেল। তিনি সম্মানজনক ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান শেফ অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযােগিতার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপােষক। ঢাকায় ফিরে ২০০৪ সালে নিজ তত্ত্বাবধানে চালু করেছেন ‘হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট এবং ‘দি টমি মিয়া ইনস্টিটিউট অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। আন্তর্জাতিক শেফ, ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব এবং শিশু পল্লী প্লাস ও পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতাে বাংলাদেশী স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পৃষ্ঠপােষক হিসেবে টমি মিয়া সর্বত্র সম্মানিত । এটি তার ষষ্ঠ রেসিপির বই। আগের বইগুলাে প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডাচেস অব ইয়ার্ক সারাহ ফার্গুসন এবং মহামান্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সহযােগিতায় ।