ফ্ল্যাপে লিখা কথা আপনাদের হাতে আমার রেসিপির ষষ্ট বইটি তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলায় এটিই আমার প্রথম বই। সবগুলো রেসিপি একত্রিত করার কাজটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমার আসল ঠিকানা বাংলাদেশের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে কষ্টকে আমি ভালোবাসা হিসেবে নিয়েছি। এতে আমার পুরনো সেরা রেসিপিগুলোর পাশাপাশি কিছু নতুন মজাদার রেসিপি রেখেছি। এগুলো আবিষ্কার করেছি। ইউরোপ এবং এশিয়াজুড়ে ব্যবসায়িক সফরের কল্যাণে। এছাড়া কথা বলেছি নামকরা শেফদের সঙ্গে। রেসিপিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিশেষ উপলক্ষে আমি তৈরি করেছি। যেমন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজরের জন্য তৈরি রেসিপি। এছাড়া আছে আমার রোস্তারাঁয় অথবা টিভি শো’র জন্য পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি রেসিপি। সর্বোগ্রে আমি চেয়েছি কিছু রেসিপি দিতে যা দেশের মানুষকে মজা দেবে। খাবারের রস বুঝতে সাহায্য করবে, রেসিগুলোর প্রস্তুতপ্রণালী দারুণ সহজ এবং পুষ্টিকর। একত্রে উপভোগ করার মতো। একটি প্রচেষ্টা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো শিশুদের অল্প বয়স থেকে রান্নায় উৎসাহী করে তোলা। যেন স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে তারা ভবিষ্যত স্বাস্থ্যোজ্জ্বল জীবনের সুফল ভোগ করতে পারে স্বাস্থ্যকার খাদ্যের অভ্যাস করুন
বাংলাদেশী বংশােদ্ভূত শেফ টমি মিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্র ব্রিটেনের এডিব্ৰায়। এখানে রয়েছে তার মালিকানাধীন পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘রাজ রেস্টুরেন্ট' এবং অরিজিনাল রাজ হােটেল। তিনি সম্মানজনক ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান শেফ অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযােগিতার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপােষক। ঢাকায় ফিরে ২০০৪ সালে নিজ তত্ত্বাবধানে চালু করেছেন ‘হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট এবং ‘দি টমি মিয়া ইনস্টিটিউট অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। আন্তর্জাতিক শেফ, ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব এবং শিশু পল্লী প্লাস ও পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতাে বাংলাদেশী স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পৃষ্ঠপােষক হিসেবে টমি মিয়া সর্বত্র সম্মানিত । এটি তার ষষ্ঠ রেসিপির বই। আগের বইগুলাে প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডাচেস অব ইয়ার্ক সারাহ ফার্গুসন এবং মহামান্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সহযােগিতায় ।