‘তিন পয়সার জ্যোছনা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ১৯৫০-এর দশকে দেশে একদিকে চলছে ভাষার লড়াই, অন্যদিকে ভাষার সাধনা। পাকিস্তানের জন্মের পর দ্রুতই নতুন এক অনুভূতি ও স্বপ্নের কথা বলতে শুরু করেছেন সাহিত্যিকেরা। সবকিছু পাল্টে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষায় দারুণ দাপটে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছেন হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, কাইয়ুম চৌধুরী, মুর্তজা বশীরের মতো তরুণেরা। সৈয়দ শামসুল হকের যৌবনকালের স্মৃতিতে ধরা পড়েছে আমাদের সংস্কৃতির স্বর্ণযুগের এক অসামান্য ছবি।
‘তিন পয়সার জ্যোছনা’ বইয়ের শেষের কথাঃ এই বিবরণকথায় আমি আমার ব্যক্তিগত গল্পটাই বলবার চেষ্টা করেছি—ব্যক্তিই শেষ পর্যন্ত ধারণ করে দিনের আলো অথবা মেঘ অথবা দুই-ই। সদ্য-কৈশোর পেরোনো কোমল আমাদের কাঁধে ইতিহাস কতটাই না দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছিল ওই পঞ্চাশের দশকে। আমার লিখন, আমার বেড়ে ওঠা, আমার জীবনসঙ্গীর চরণপাত, আমার সেই পুরান ঢাকা—আমার তরফে এ গল্প আমি বলে গিয়েছি স্মৃতিকথনের দ্রুততালে, যতিচিহ্নে মানিনি প্রথাগত রীতি, নিঃশ্বাস পতনেরও অবকাশ রাখিনি বহু ক্ষেত্রে—এভাবেই এই আমি আর আমার সেই পঞ্চাশের দশক। সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ প্রয়াণ : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ পুরস্কার : আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসরিউদ্দনি র্স্বণপদক, জেবেন্নুসা-মাহবুবউল্লাহ্ র্স্বণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, পদাবলী পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।