‘যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প (পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের বই)’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প বইয়ের গল্পগুলো লেখা হয়েছে ১৯৫২-৭২ সময়পরিসরে। এর মধ্যে দুটি—‘বিয়ে একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার’ (১৯৫২) এবং ‘মৃত মানুষের পথ’ (১৯৫৩)—চিনুয়া আচেবের ছাত্রাবস্থায় লেখা, যা পরে তিনি কিছু ‘ঘষা-মাজা’ করেন। উপন্যাসে আচেবে মূলত উপনিবেশবাদের সঙ্গে স্থানীয় সনাতন জীবনধারার সংঘর্ষের ছবি এঁকেছেন; ছোটগল্পে উপজীব্য করেছেন প্রাত্যহিক জীবনের ক্ষুদ্র অথচ মৌল প্রশ্নগুলোকে, মূল্যবোধ আর সংস্কারের দ্বন্দ্বকে, রাজনীতিক আর বুদ্ধিজীবীদের শঠতাকে। একটি নির্দিষ্ট স্থানীয় ঘটনাকে নানাভাবে নিরীক্ষণ করা হয়েছে ঘটনাটির অন্তর্নিহিত সর্বজনীন ও বহুমাত্রিক তাৎপর্যের সন্ধান না পাওয়া অবধি। এসব গল্পের বিষয়, চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশি জনজীবনের সাদৃশ্য লক্ষ করা অসম্ভব নয়।
‘যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প (পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের বই)’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প বিংশ শতাব্দীর মধ্য পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকের শুরু অবধি নাইজেরীয় জনজীবনের কাহিনি। গল্পগুলোর রচনাকাল চিনুয়া আচেবের কলেজে পড়ার সময় থেকে নাইজেরীয় গৃহযুদ্ধের শেষ অবধি। এই গল্পসংগ্রহে আচেবে পাঠককে নিয়ে যান একটি জনগোষ্ঠীর হৃদয় ও আত্মার গভীরে, যাদের অহংকার ও আদর্শ নিয়ত অস্তিত্বের সংগ্রামের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এই সংগ্রামমুখর জীবনের আলেখ্যই গল্পগুলোকে স্থান-কাল ছাপিয়ে সবার গল্প করে তুলেছে।
Title
যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প (পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের বই)
নাইজেরিয়ার ওনিসা এলাকার কয়েক মাইল উত্তর-পূর্বে ওগিডি-তে চিনুয়া আচেবে জন্মেছিলেন ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে। তার বাবা ছিলেন গীর্জার দূত; তার মানে সপ্তাহের দিনগুলােতে তিনি মিশন স্কুলে পড়াতেন, আর একই সঙ্গে গ্রামের গীর্জার দায়িত্ব পালন করতেন। আচেবে-পরিবারের ছেলেমেয়েরাও মিশন স্কুলে পড়তাে, সেখান থেকেই চিনুয়া ভর্তি হয়েছিলেন উমুয়াহিয়া সরকারী কলেজে, ১৯৪৪ সালে। ১৯৪৮ সালে চিনুয়া ঢােকেন ইবাদানের বিশ্ববিদ্যালয়কলেজে, কলা-স্নাতক হন ১৯৫৩ সালে। তার পরে তিনি যােগ দেন নাইজেরীয় বেতার-ব্যবস্থায়, কথিকা- প্রস্তুতকারী হিসেবে। সেখানেই তিনি বেতারের বহির্দেশীয় প্রচারের পরিচালক হন, চলে যান লাগােসে। ১৯৫৮-১৯৬৬ সময়কালে চিনুয়া ৪টি উপন্যাস লেখেনথিংস ফল এ্যাপার্ট (১৯৫৮),নাে লঙার এ্যাট ইজ(১৯৬০), অ্যারৌ অব গড (১৯৬৪) এবং অম্যান অব দ’ পিপল (১৯৬৬)। ১৯৬৬ সালেই প্রকাশিত হয় চিকি আর নদী। পরবর্তীতে নানা ধারায় আরাে অনেক লেখেন চিনুয়া আচেবে। শুধু নাইজেরিয়ার নয়, গােটা আফ্রিকার আধুনিক সাহিত্য-সৃষ্টির ধারাটিকেই গড়ে তােলেন তিনি তাঁর লেখালেখির মধ্য দিয়ে। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ প্রয়াত হন চিনুয়া আচেবে।