"আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু" বইয়ের পিছনের পৃষ্ঠায় লিখা জগদীশচন্দ্র বসু একজন সফল বাঙালি বিজ্ঞানী। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান প্যাটেন্টের অধিকারী। ২০০৪ সালের এপ্রিলে বিবিসি রেডিওর জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে সপ্তম স্থান অধিকার করেন তাঁর গবেষণার প্রধান দিক ছিল উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ, উদ্ভিদের দেহের উত্তেজনার বেগ নিরূপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র রিজোনাস্ট রেকর্ডার অন্যতম। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনাকালীন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে জগদীশচন্দ্র বসু অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোনাে তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফল হন। জগদীশচন্দ্র সর্বপ্রথম প্রায় পাঁচ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ তৈরি করেন। আধুনিক রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযােগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এর মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান-প্রদান ঘটে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জগদীশচন্দ্র বসু বাংলা ভাষায় মাত্র দুটি বই লিখেছিলেন, তার মধ্যে ‘অব্যক্ত’ অন্যতম এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়।