'আঙ্কেল টমস কেবিন' দাসপ্রথাকে উপজীব্য করে লেখা একটি মাইলফলক গ্রন্থ। লেখিকা হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো এই কালজয়ী উপন্যাসটির পটভূমি হিসেবে আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যকে বেছে নিলেও পরােক্ষভাবে তিনি বিশ্বময় বিস্তৃত দাসপ্রথার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করেছেন। এই প্রতিবাদের টর্নেডাে বিশ্বব্যাপী লালিত দাসপ্রথাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে দাসদেরকে মুক্ত করে দিতে জোরালাে ভূমিকা রেখেছে। হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো'র আঙ্কেল টমস কেবিন অমানবিক আচরণে জর্জরিত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসদের অত্যাচারিত হওয়ার চিত্র যেমন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে, তেমনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এ বইয়ের চরিত্রগুলাের মধ্যে টম, এলিজা, শেলবি, জর্জ হ্যারিস, দাসব্যবসায়ী। হ্যালি সেন্টক্লেয়ার, ওফেলিয়া, ল্যাগ্রি ক্যাসি ও ইভানজেলিন অন্যতম বলিষ্ঠ ও সরব চরিত্র । নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে সচেতনতার সঙ্গে তাদের কর্তব্য পালন করে গেছে, আর তা সম্ভব হয়েছে লেখিকার সুনিপুণ রচনাশৈলী ও তীক্ষ সমাজসচেতনতার কারণে। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতাে উপন্যাস বলতে যা বােঝায়, আঙ্কেল টম’স কেবিন তেমন কোনাে বই নয়। বরং এটি প্রাচীনকাল থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত প্রচলিত বর্বর দাসপ্রথার মর্মান্তিকতাকে অনুধাবন করিয়ে দেয়ার মতাে একটি মর্মস্পর্শী কাহিনী সম্বলিত উপন্যাস। আঙ্কেল টমস কেবিন বইটি লেখার প্রারম্ভে হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ন্যাশনাল এরা পত্রিকার সম্পাদক গ্যামালিন বেইলিকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন : ‘দাসপ্রথার সমস্যা, মানবিক ও অমানবিক বিষয়গুলাে নিয়ে আমি একটি উপন্যাস লিখবাে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমি মনে করি, মানবতার বাণী ও আদর্শ সমুন্নত রাখার স্বার্থে এর সপক্ষে সরব হওয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে। এ ধরনের অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে শুধু আমার মতাে এক সাধারণ নারীর নয়, একটি কিশােরেরও প্রতিবাদ জানাবার অধিকার রয়েছে এবং তা তাদের করা উচিত।' 'আঙ্কেল টমস কেবিন' দাসপ্রথাকে উপজীব্য করে লেখা একটি মাইলফলক গ্রন্থ। লেখিকা হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো এই কালজয়ী উপন্যাসটির পটভূমি হিসেবে আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যকে বেছে নিলেও পরােক্ষভাবে তিনি বিশ্বময় বিস্তৃত দাসপ্রথার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করেছেন। এই প্রতিবাদের টর্নেডাে বিশ্বব্যাপী লালিত দাসপ্রথাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে দাসদেরকে মুক্ত করে দিতে জোরালাে ভূমিকা রেখেছে। হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো'র আঙ্কেল টমস কেবিন অমানবিক আচরণে জর্জরিত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসদের অত্যাচারিত হওয়ার চিত্র যেমন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে, তেমনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এ বইয়ের চরিত্রগুলাের মধ্যে টম, এলিজা, শেলবি, জর্জ হ্যারিস, দাসব্যবসায়ী। হ্যালি সেন্টক্লেয়ার, ওফেলিয়া, ল্যাগ্রি ক্যাসি ও ইভানজেলিন অন্যতম বলিষ্ঠ ও সরব চরিত্র । নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে সচেতনতার সঙ্গে তাদের কর্তব্য পালন করে গেছে, আর তা সম্ভব হয়েছে লেখিকার সুনিপুণ রচনাশৈলী ও তীক্ষ সমাজসচেতনতার কারণে। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতাে উপন্যাস বলতে যা বােঝায়, আঙ্কেল টম’স কেবিন তেমন কোনাে বই নয়। বরং এটি প্রাচীনকাল থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত প্রচলিত বর্বর দাসপ্রথার মর্মান্তিকতাকে অনুধাবন করিয়ে দেয়ার মতাে একটি মর্মস্পর্শী কাহিনী সম্বলিত উপন্যাস। আঙ্কেল টমস কেবিন বইটি লেখার প্রারম্ভে হ্যারিয়েট বিচ্যার স্টো ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ন্যাশনাল এরা পত্রিকার সম্পাদক গ্যামালিন বেইলিকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন : ‘দাসপ্রথার সমস্যা, মানবিক ও অমানবিক বিষয়গুলাে নিয়ে আমি একটি উপন্যাস লিখবাে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমি মনে করি, মানবতার বাণী ও আদর্শ সমুন্নত রাখার স্বার্থে এর সপক্ষে সরব হওয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে। এ ধরনের অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে শুধু আমার মতাে এক সাধারণ নারীর নয়, একটি কিশােরেরও প্রতিবাদ জানাবার অধিকার রয়েছে এবং তা তাদের করা উচিত।'