"এমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: এটি সেই বইটিরই একটি সম্পূর্ণ নতুন অনুবাদ —যেটি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের অনন্ত আনন্দের খনি হয়ে আছে। এই বইটি একটি গােয়েন্দা-কাহিনী। এমিল দুৰ্বত্তের শিকার। একা রেলের কামরায় জীবনের প্রথম ভ্রমণে চুরি হলাে তার টাকা। নােটগুলি সে নিয়ে যাচ্ছিলাে বার্লিনে তার নানীর কাছে মা’র অনেক পরিশ্রমের সযত্ন-সঞ্চিত টাকা। তার সমবয়সী একদল ছেলে তাকে সাহায্য করার জন্য এলাে এগিয়ে। চোরের পিছু নিলাে তারা, ধরলাে এবং খুলে দিলাে চোরের ভদ্রলােকের মুখােশ। যতােই কাহিনী এগােয় ততই রহস্য হয়ে ওঠে ঘনীভূত। চমৎকার পরিকল্পনা করে ছেলেরা, উপস্থিত বুদ্ধির তীক্ষ্ণ ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজে অথচ আটঘাট বেঁধে ধরে ফেলে তারা চোরকে। প্রত্যেকটি চরিত্রই সুন্দরভাবে উপস্থাপিত। যেন ছেলেদের কাছে একেবারে চেনা। ঘটনার গতি মনােরম। পাঠকের বিশ্বাস না করে উপায় নেই কোনােকিছু সেই দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য পােশাক বাছাই থেকে শুরু করে সবশেষে অপ্রত্যাশিত পুরস্কার পর্যন্ত সবই আশ্চর্য ও সহজভাবে বর্ণিত। বেশ মজার সাথে বইখানি সবাই পড়ে। আট বছরের ক্ষুদে পাঠকও বেশ আগ্রহ নিয়ে এগােতে পারে আর তেরাে-চৌদ্দ বছরের ছেলে-মেয়েদের তাে কথাই নেই।
কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞানলেখক সুব্রত বড়ুয়ার জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ছিলোনীয়া গ্রামে, ১৯৪৬ সালে। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু। বাংলা একাডেমিতে যোগদান ১৯৭০ সালে। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। লেখালেখির সূচনা ছাত্রজীবনে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই পদচারণা রয়েছে তাঁর।