লেখকের কথা ইনসোমনিয়া বা নির্ঘুম রাত, কেউ কেউ বলে আবার ঘুমহীন প্রহর। যে যা-ই বলুক, সহজ ভাষায় আমি বলি রাতজাগা রোগ। আমার মধ্যে ব্যাপারটা আছে বলা যায় বেশ ভালোভাবেই। মাঝে মাঝেই আমার কোনো কোনো রাতে কেন জানি এক ফোঁটা ঘুমও আসে না। বিছানা, বালিশ, পরিবেশ অর্থাৎ সুন্দর একটা ঘুমের জন্য যা যা দরকার সবই ঠিকঠাক, তবুও চোখের দুটি পাতা কিছুতেই এক হতে চায় না। এর কারণ কী আমি জানি না। অনেক ভেবেও এর কোনো কারণ খুঁজে পাইনি। হয়তো এর কোনো কারণই নেই।
যাই হোক, তো এমনই এক রাতের কথা, কিছুতেই হচ্ছিল না, মানে ঘুম আসছিল না। ঘণ্টা দুয়েক এপাশ-ওপাশ করে শেষে চুপি চুপি চলে এলাম কিচেনে। বেশ সময় নিয়ে এক কাপ চা বানালাম। চায়ে চুমুক দিয়ে মনে হলো, আহ্ অসাধারণ হয়েছে! বেশ তো, চা’টা শেষ করতে করতে না হয় কয়েক লাইন কবিতা লিখে ফেলি। রাত তো মেলা বাকি পড়ে আছে। বলেই মনে হলো, খেপেছি নাকি! ও কর্ম আমার না। তার চেয়ে আমি বরং একটু গদ্য লিখে ফেলি। ধর তক্তা মার পেরেক। তরতর করে লিখে ফেললাম বেশ কয়েক পাতা। পরে অবশ্য কিছু বন্ধুদের তা দেখালাম। ওরা অনেকেই বলল, দোস্ত পড়তে তো ভালোই লাগছে। তুই এক কাজ কর, টেনেটুনে পুরো একটা উপন্যাস নামিয়ে ফেল।
বন্ধুদর কোনো কথাই সাধারণত আমি কানে নেই না, তবে এই কথাটি বেশ সিরিয়াসলি নিলাম এবং লিখে ফেললাম ছোট্ট এই উপন্যাসটি। বন্ধুদের যখন ভালো লেগেছে, ভাবলাম হয়তো আপনাদেরও ভালো লাগতে পারে। তাই এটি বই আকারে প্রকাশের এই উদ্যেগ। যদি কারো এতটুকু ভালো লাগে তবেই সার্থক আমার নির্ঘুম রাত্রিগুলো। -ডা. এম.এইচ. রশিদ শোভন