‘একটা স্টারশিপ চাই আপনাদের? কেন?’ জানতে চাইলেন মির করিমভ। ‘কোথায় যাবেন?’ আমাকে একবার দেখে নিয়ে তাঁর দিকে ফিরল নওমি, বলল, ‘অ্যান্ড্রমেডা।’ ‘অ্যান্ড্রমেডা? আপনি বলতে চাইছেন অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি? কিন্তু সেটা তো...’ এক সেকেন্ড বিরতি, সন্দেহ নেই তাঁর ওয়েব লিঙ্ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। ‘...২.২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে।’ ‘ঠিক তাই।’ ‘কিন্তু...কিন্তু ওখানে পৌঁছুতে সময় লাগবে দু’মিলিয়ন বছরেরও বেশি।’ ‘সেটা শুধু পৃথিবীর...মাফ করবেন, সাররের...দৃষ্টিভঙ্গিতে,’ বলল নওমি। ‘আমরা এখনকার চেয়ে কম সাবজেক্টিভ সময়ে কাজটা করতে পারব, এবং, অবশ্যই, পুরোটা সময় আমরা ক্রাইয়োজেনিক ফ্রিজে থাকব।’ ‘আমাদের কোনো শিপে ক্রাইয়োজেনিক চেম্বার নেই,’ করিমভ জানালেন। ‘তার কোনো প্রয়োজনও নেই।’ ‘দুরন্ত পথিকৃৎ থেকে চেম্বারগুলো খুলে নেওয়া যায়।’ মাথা নাড়লেন করিমভ। ‘ওটা ওয়ান-ওয়ে জার্নি হবে, আপনারা আর কখনো ফিরতে পারবেন না।’ ‘কথাটা সত্যি নয়,’ আমি বললাম। ‘অন্য সব গ্যালাক্সি দূরে সরে যাচ্ছে, কিন্তু অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি তা যাচ্ছে নাÑ ওটা সরে আসছে মিল্কিওয়ে, অর্থাৎ আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথের দিকে। এক সময় এই দুটো গ্যালাক্সি এক হবে, আমাদেরকে ফিরিয়ে আনবে বাড়িতে।’ ‘সেটা ঘটবে কয়েকশ কোটি বছর ভবিষ্যতে।’ ‘ঘটুক, আমাদের কোনো তাড়া নেই,’ বলল নওমি। ‘আমরা বড় একটা লাফ দিতে চাইছি। সেটা মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লাফ হতে অসুবিধে কোথায়?’
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্ম। চার বছর বয়সে বাংলাদেশে আসেন। পেশা : লেখালেখি অসংখ্য গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন। কর্মজীবনের প্রায় পুরোটাই সেবা প্রকাশনীতে লেখালেখির কাজে ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ বহুবছর।