বইটির লেখিকার কথাঃ বাঙালি জীবনে উৎসবের কোন শেষ নেই। বাঙালিদের মধ্যে মিশে আছে নানা ধর্মের মানুষ আর তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আর এই কারণেই বাঙালিদের উৎসবে মাতােয়ারা হতে কোন বাধা নেই। সম্ভবত এজন্য কথায় বলে বাঙালি জীবনে বারাে মাসে তের পার্বন। বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালিরা একের পর এক উৎসবের স্বাদ হরহামেশাই পেয়ে থাকে। একদিকে বাঙালি জীবনে যেমন উৎসবের শেষ নেই, ঠিক তেমনই বিভিন্ন ধরনের উৎসবের রয়েছে বিশেষ কিছু রান্না। এক একটি উৎসব যেন নতুন নতুন রান্নার আইটেম ছাড়া কোনমতেই জমে না। ঈদের রান্না যেমন সবেবরাতের সাথে মেলে না। আবার পূজার রান্নার সাথে মেলে না বৈশাখি উৎসবের রান্না । ইফতারি আর উপবাসের কথাই আলাদা। তখন প্রয়ােজন হয় ভিন্নধর্মী রান্নার আইটেম। এছাড়া বিভিন্ন বিয়ে, জন্মদিন, বৌভাত সহ দাওয়াত করে খাওয়ানাের বিষয় তাে আছেই। ফলে দরকার হয় নতুন নতুন রান্নার আইটেম। এই বইতে বাঙালি জীবনের বিভিন্ন উৎসব আর অনুষ্ঠানের রান্নার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক রান্নার বিষয় নিয়েও আলােচনা করা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক বলতে বােঝায় আচমকা কোন দাওয়াত বা নিমন্ত্রণ করার কারণে রান্না। সােজা কথায় মেহমানদারী। যা আমাদের বাঙালি জীবনের একটা পুরাতন ঐতিহ্য। কথা নেই বার্তা নেই অফিস থেকে কর্তা হয়তাে বলে পাঠালেন তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে তিনি রাতে একসাথে খাবেন। ব্যস, সাথে সাথে খোজ শুরু হয়ে যায় নতুন নতুন রান্নার আইটেমের। আর সেই সাথে বাড়তি টেনশন। তবে এই বইটি হাতের কাছে থাকলে এই ধরনের কোন টেনশন থাকবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ এই বইতে এই ধরনের বাড়তি রান্নার উপকরণ বা আইটেমের বেশ বড়সড় তালিকা দেয়া হয়েছে। বিয়ে বা এই ধরনের আনুষ্ঠানিক দিনগুলােতে রান্নার বিভিন্ন নতুন নতুন আইটেম নিয়েও আলােচনা করা হয়েছে। এই সাথে ঈদ, পূজা এবং জন্মদিনের রান্নাগুলাে তাে আছেই। এছাড়া আছে পহেলা বৈশাখের রান্না, বাঙালিদের চিরন্তন ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের রান্না, জন্মদিনের রান্না ইত্যাদি। প্রতিটি রান্নার সাথে ছবি দেয়া আছে। ফলে আপনি রান্না করার পাশাপাশি ছবি দেখে রান্নার প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে ধারণ নিতে পারবেন। বিষয় ভিত্তিক সূচি বা রান্নার তালিকা দেখে আপনার প্রয়ােজনীয় রান্নাটি খুঁজে নিতে পারবেন অনায়াসে।