সত্তরের দশকে বিজ্ঞানের গবেষণায় আবির্ভূত হয় বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে অনেক প্রতিভাবান বিজ্ঞানী এ সময় পেশাদার বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন এসব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কাজে। ১৯৭৩ সালে এই পেশাদার বিজ্ঞানীদের দলে নাম লেখান বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানী- আবদুস সাত্তার খান। একুশ শতকের অনেক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনি। কিন্তু পেশাদার বিজ্ঞানীরা কখনোই প্রচারের আলোয় আসেন না। কারণ তাঁদের ধ্যান, ধারণা, চিন্তা ভাবনায় মগ্ন থাকেন একমাত্র নতুন কিছু আবিষ্কারের আশায়। তারপর সরকারেরও কিছু নিয়মনীতি তাঁদের মেনে চলতে হয়। তাই তাঁরা পর্দার আড়ালে থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। শুধু তাঁদের আবিষ্কার পেটেন্ট হিসেবে নিজেদের নামে লিপিবদ্ধ হয়। প্রায় অচেনা বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানীর পেটেন্টের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে। কিন্তু তাঁর সাফল্যগাঁথা এক দিনে রচিত হয়নি। ১৯৭১ সালে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যায় এই বঙ্গসন্তান। আমরা জানি না তাঁর তৈরি করা আবিষ্কারের কথা, আমরা জানি না এ অচেনা নক্ষত্র বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের জন্য কি রেখে গেছেন এবং কি করে গেছেন। জীবনে অনেক সংগ্রাম করে বেঁচে ছিলেন। শুধু নিজে সংগ্রাম করে বাঁচেনি, বাঁচিয়েছেন তার আত্মীয়-স্বজন সহ সবাইকে। বিশ্বের কাছে এ বাংলাদেশকে চিনিয়েছেন। কিন্তু আমরাই আব্দুস সাত্তার খানকে চিনলাম না। বাংলাদেশের বিভিন্ন দূর্যোগের সময় পাশে ছিলেন।