ফ্ল্যাপে লিখা কথা একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় পৌঁছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের সমারোহের মধ্যে দাঁড়িয়ে এ-যুগের মানুষের মনে তো এ প্রশ্ন জেগে ওঠাই স্বাভাবিক কোথায় গিয়ে থামবে পৃথিবীর মানুষের বিজ্ঞানের এ জয়রথ? কোথাও কি সত্যিই থামবে, নাকি আপন আবিষ্কারের মহিমার মধ্যে মানুষ নিজেই একদিন বন্দি হয়ে পড়বে? আমরা কেউ জানিনা সে-কথা।
বৈজ্ঞানিক কল্পোপন্যাসের লেখকরা কতো অদ্ভুত বিষয়ই না নিয়ে এসেছেন তাঁদের কাহিনীতে, কতো বিচিত্র উদ্ভাবন আর অভিজ্ঞতার কথাই তো সেখানে বলেছেন তাঁরা।
শুধু কল্পোপন্যাসের লেখরা কেন- অনেক বিজ্ঞানীর মনেও তো জেগেছে সম্ভব-অসম্ভব নানা সম্ভাব্যতার স্বপ্ন! তাঁরা কেউ কেউ তো সে-সব নিয়ে কাজও করছেন।
মানুষকে কোথায় নিয়ে যাবে আগামীদিনের রোবট-মানুষ? গ্রহ-গ্রহান্তরে সম্পদের সদ্ধানে ছুটবে মানুষ কেমন করে? প্রাকৃতিক জৈব জ্বালানির পরিবর্তে কোন জ্বালানি অথবা শক্তির সাহায্যে বাঁচবে আগামীদিনের মানুষ?
আগামী প্রজন্মের বিজ্ঞান বইটিতে তারই হদিস খোঁজার করেছেন লেখক। ইচ্ছে করলে আপনিও তাঁর সঙ্গী হতে পারেন।
সূচিপত্র * অনাগত কালের অতি উন্নত মানুষ * আগামী প্রজন্মের বুদ্ধিমান যন্ত্র * শক্তির ভবিষ্যৎ ব্যবহার * আগামী প্রজন্মের টেলিকমিউনিকেশন * মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও আগামী প্রজন্ম * সময় এক রহস্যময় জগৎ * প্রতিবিম্বকতা বা প্রতিবস্তু * আগামী প্রজন্মের প্রত্যাশা : আলোর চেয়ে ক্ষিপ্র গতি * আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ * ফোর্থ ডাইমেনশন কি? * ফোর্স ফিল্ড * ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরি
ভবেশ রায়ের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাইশাকান্দা গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তার পর কুত্তরা আব্বাস আলি হাইস্কুলে। ইন্টারমিডিয়েট করটিয়া সাদৎ কলেজে। স্নাতক ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এবং স্নাতকোত্তর (বাংলা সাহিত্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। অধুনালুপ্ত দৈনিক সমাজ পত্রিকার ফিচার এডিটর ছিলেন। তারপর সমবায় কর্মকর্তা (জনসংযোগ কর্মকর্তা) হিসেবে ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। বর্তমানে সাৰ্বক্ষণিক লেখালেখি করেন। প্ৰকাশিত বইয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। কিশোর বিজ্ঞানের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক ।