ফ্ল্যাপে লিখা কথা পৃথিবীতে জীবন কিভাবে সৃষ্টি এবং তা ধীরে ধীরে ধীরে কিভাবে বিকশিত হয়েছে, তা একটি রহস্যময় বিষয় হিসেবে স্বীকৃত। লেখক ডেভিড এটেনবরো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশসমূহ ঘুরে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে জীবনের উদ্ভব এবং তার গতি-প্রকৃতি অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। লেখক তাঁর যাদুকরী বর্ণনাধর্মী ভাষায় গ্রন্থটিতে জীবনের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছেন। ভৌগলিক বিস্তারের সাথে সাথে জীবনের গতি-প্রকৃতি ও তাদের অভিযোজনের নানা কাহিনী এখানে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। লেখকের ভাষায় ... বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, সত্যিকার নায়ক আদি প্রাণীদের প্রতিনিধি বর্তমানের জীবিত প্রাণীদের উপর ভিত্তি করেই ইতিহাসের প্রায় প্রধান প্রধান সকল ঘটনার বিবরণ দেওয়া সম্ভব। ..... মূলত লেখকের এই চিন্তাধারাই তাঁকে এই গ্রন্থটি প্রণয়নে অনুপ্রাণিত করেছে। বিভিন্ন তথ্যের সহযোগিতায় এটনবরো প্রণীত পৃথিবীতে জীবনে উদ্ভব একটি বর্ণনাধর্মী এবং অতি উৎকৃষ্ঠমানের তথ্যবহুল গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
সূচিপত্র * অনন্ত বৈচিত্র্য * নানা ধরনের দেহগঠন * অরণ্যের শুরু * ঝাঁকে চলা পতঙ্গ * জলজয়ী প্রাণী * প্রাণীর স্থলভাগ অভিযান * জনরোধি ত্বক * বায়ুরাজ * ডিম, শাবকথলে ও ফুলকা * অপরিবর্তিত ধারাবাহিকতা ও বিবিধায়ন * শিকারি ও শিকার * বৃক্ষচারী জীবন * যোগাযোগ উদ্ভাবনে পারদর্শী
স্যার ডেভিড ফ্রেডেরিক এটেনবরাে বিশ্বের অন্যতম সেরা। বিজ্ঞান লেখক এবং উপস্থাপক হিসেবে বিবেচ্য। তিনি ৮ই মে, ১৯২৬ তারিখে ইংল্যান্ডের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। জীবন ও প্রকৃতিবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তথ্যচিত্র উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিবিসি'র মাধ্যমে তিনি তার চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তাঁর তৈরি বিভিন্ন তথ্যচিত্র সারা বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তাকে ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। তবে একজন প্রকৃতিবিজ্ঞানী এবং উপস্থাপক হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত। ডেভিড এিেটবারাে পরবতকালে এসব তথ্যচিত্রের উপর ভিত্তি মরবেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। তাঁর লেখা লাইছ ডার্থ বিশ্বের বিজ্ঞান সাহিত্যে একটি অনবদ্য সৃষ্টি হিসেবে পরিচিত। তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে বিভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে তিনি ফেললা অব রয়্যালে সােসাইটি হন এবং ২০০৫ সালে তিনি অর্ডার অব মেরিট লাভ করেন।