ভূমিকা: মধ্যরাতের সূর্য যেখানে কবি ভেবেছেন মধ্যরাতের সূর্য; সেখানে বসবাস শব্দভুকের। সময়ের সারথি করেছেন আমাদের। তার সঙ্গে আমাদের যাত্রাও যেনো সমান্তরাল হয়। তার অনুভূতির সঙ্গে যেনো হয় আমাদের ঘোরাফেরা। মধ্যরাতের সূর্য-এর সারথি আমরা সবাই। যোগাযোগ ও বিকল্প মাধ্যমের বাইরেও সরল সন্ন্যাসীর প্রতিটি বিষয়ে তার রয়েছে ক্ষুরধার যুক্তিজ্ঞান, দারুণ বিবেচনাবোধ, হিউমার, মানবিকতা ও কাব্যিক চয়ন। আপন জগত গড়ে তুলেছেন নিজস্ব মহিমায়। এ পরিমণ্ডলও সম্প্রসারিত হয়েছে এরইমধ্যে। বাবার অসুস্থতার মধ্যে বুনে গেছেন নিজের লালিত স্বপ্ন। দেখিয়েছেন কীভাবে স্থির হয়ে সময়ের সঙ্গে যেতে হয়; কতটুকু দরকার দৃঢ়তা; বাস্তব আর আবেগকে সমান্তরাল রাখতে হয়। তবে কী সব কিছুর এক সমন্বয় হয় কবিতায়? তা-ই কি গেঁথে রেখেছেন প্রথম কাব্যগ্রন্থে! নিজের বিশ্বাস, প্রেম, বাস্তবতা, মানবিকতা, অথবা দুইকালের এক মিলমিশ এক বিন্দুতে। সবাইকে ছুঁয়ে যেতে কবির চেষ্টা অনন্তর। তবুও প্রথম কাব্যগ্রন্থে হয়ত সবার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হবে না। সবার শুভকামনায় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার কবি হয়ে উঠবেন তিনি। এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। মঈনুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মী।