’চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট' বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা “প্রায় সাতশ বছর আগে একজন মানুষ প্রায় অর্ধেক পৃথিবী জয় করে ফেলেছিলেন। অনেক উপাধি পেলেও তিনি সবচেয়ে পরিচিত ‘চেঙ্গিস খান’ নামে”- এভাবে হ্যারল্ড ল্যাম্ব শুরু করেন তার বিখ্যাত রচনা ‘চেঙ্গিস খান। তার রচিত চেঙ্গিস খানের জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে। প্রকাশের পর দারুণ সাড়া পড়ে যায়। প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়। আজও প্রকাশের আশি বছর পরও বইটি চেঙ্গিস খানের জীবনের ওপর লেখা গ্রন্থগুলাের ভেতর সবচেয়ে বেশি পঠিত। কেবল শুষ্ক-রুক্ষ তথ্য উপস্থাপন করে এটিকে তিনি একটি ইতিহাসগ্রন্থ করেননি, গভীর ভালােবাসা আর মমতা দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিটি চরিত্রকে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বারােশ শতকের পটভূমিকায় চেঙ্গিস খানের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটি পড়ে অবসান হবে চেঙ্গিস খানকে ঘিরে থাকা অনেক ভুল ধারণার।
’চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট' বইয়ের সূচীপত্র ভূমিকা রহস্যসূচীপত্র..........৯
প্রথম পর্ব মরুভূমি..........১৭ বেঁচে থাকার সংগ্রাম..........২৭ গরুগাড়ির যুদ্ধ..........৩০ তিমুজিন এবং একটি উচ্ছ্বাস..........৩৬ যখন গুপ্ত পাহাড়ে পতাকা উড়ছিল..........৪০ প্রিস্টার জনের মৃত্যু..........৫১ ইয়াসা..........৫৭
দ্বিতীয় পর্ব ক্যাথি..........৬৫ স্বর্ণালি সম্রাট..........৭১ মঙ্গোলদের প্রত্যাবর্তন..........৭৭ কারাকোরাম..........৮২
তৃতীয় পর্ব ইসলামের তরবারি..........৮৯ পশ্চিমের দিকে অভিযান..........৯৫ প্রথম অভিযান..........১০১ বােখারা ১০৬ সেনাপ্রধানদের যাত্রা..........১১৪ চেঙ্গিস খানের মৃগয়া..........১২০ তুলির স্বর্ণ সিংহাসন..........১২৬
হ্যারল্ড ল্যাম্ব । জন্ম ১ সেপ্টেম্বর, ১৮৯২। তিনি ছিলেন একাধারে। ইতিহাসবিদ, চিত্রনাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক। নিউ জার্সির আল পাইন এ জন্ম নেয়া মানুষটি খুব অল্প বয়সেই লেখালেখিতে আসেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় এশিয়া এবং এই এলাকার মানুষের ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পাল্প ম্যাগাজিন জাতীয় পত্রিকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এক সময় সম্মানজনক অ্যাডভেঞ্চার পত্রিকায়। যােগ দেন। ১৯২৭ সালে তাঁর লেখা চেঙ্গিস খানের জীবনী দারুণ সাফল্য এনে দেয়। এরপরে ১৯৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বেশ অনেকগুলাে জীবনী এবং ইতিহাসভিত্তিক বই রচনা করেন। ক্রুসেডের ওপর লেখা তার দুই খণ্ডের বইটি দারুণভাবে প্রশংসিত হয়। এর সুবাদে সেসিল ডে মেইল, ক্রুসেড’-এর ওপর নির্মিতব্য তার চলচ্চিত্রে তাঁকে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার নিয়ােগ করেন। এরপরে তিনি বেশ অনেকগুলাে চলচ্চিত্রে নাট্যকার হিসেবেও কাজ করেন। ইংরেজির। পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ, ল্যাটিন, পার্সি আর আরবি ভাষায়ও পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬২ সালের ৬ এপ্রিল এই মহান ইতিহাসবিদ, লেখক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।