সংস্কৃতি কী, তার কি কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে? পৃথিবীর অনেক লেখক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও নৃতত্ত্ববিদ অবশ্য সংস্কৃতির বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। কেউ কারও সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেননি। অর্থাৎ এ নিয়ে নানা মুণি নানা মত প্রকাশ করেছেন। সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করেছেন যার-যার নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে। কেউ বলেছেন, Culture is the man-made part of environment (Herscovits)। আবার সংস্কৃতিকে আরো বিষদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন দু'জন নৃবিজ্ঞানী ক্লাইড ক্লাকহোন এবং উইলিয়াম কেলি। তাঁরা বলেছেন: All those historically created designs for living, explicit and implicit, rational, irrational and non- rational which exit at any time as potential guides for the behaviour of men। কিন্তু ওপার বাংলার লেখক পবিত্র সরকার সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করেছেন দুটি স্তরে বিন্যস্ত করে। তিনি বলেছেন: "জীবনের অন্তর্গত সকল বিষয়-কর্ম-চর্চা-সাধনা প্রভৃতিই হচ্ছে সংস্কৃতি। সেটা হতে পারে বস্তুগত কিংবা অবস্তুগত। বস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে আমাদের খাদ্যদ্রব্য ও তার উপাদান, আমাদের পোশাক-আশাক, আমাদের আবাস ও গৃহস্থালির নানা উপকরণ (চেয়ার-টেবিল, খাট, আলো, মাদুর, সোফা, বালতি-বাসন
কবি অসীম সাহার জন্ম নেত্রকোনা শহরের মামাবাড়িতে। তার বাবা প্রয়াত অখিল বন্ধু সাহা, মা প্রয়াত প্রভা রানী সাহা। ছয় ভাই-বােনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর পিতপুরুষের ভিটে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা গ্রামে। তবে দার্শনিক পিতার চাকরির সূত্রে মাদারীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু। সেখানেই বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অসীম সাহার লেখালেখি-জীবনের শুরু ১৯৬৪ সালে। ১৯৬৫ সালে জাতীয় দৈনিকে লেখা ছাপার মধ্য দিয়ে আজ পর্যন্ত অব্যাহতভাবে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, কিশাের কবিতা প্রভৃতি লিখে চলেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৫টি । লেখালেখির পাশাপশি বিগত আটচল্লিশ বছর ধরে তিনি দেশের মূলধারার পত্রিকাসমূহে সাংবাদিকতাও করে আসছেন। শিল্পের সাধনায় নিবেদিতপ্রাণ এই কবি-শিল্পী এ-পর্যন্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্যপুরস্কার, আলাওল সাহিত্যপুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার, রূপসী বাংলা পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ), কোলকাতা আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার এবং আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্যপুরস্কার, বঙ্গবন্ধু স্মারক-পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা ও টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক।