আমরা যারা সাহিত্য চর্চা করি, তাদের স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেতে হয় সাহিত্য সৃষ্টির পেছনের গল্পে। না যাওয়াটা আমাদেরই পর্যাপ্ত উদ্যোগের ঘাটতি হিসেবে প্রমাণিত হবে। পৃথিবীতে এত সব মহান সাহিত্য সৃষ্টির পেছনের গল্প অনেকটাই আমাদের অজানা। কতটা ঘাম শ্রম যন্ত্রণা বেদনা আর অপমান সয়ে সৃষ্টি হয়ে একেক খণ্ড কোহিনুর হীরা সেই কাব্যকথা আমাদের জানা দরকার। সেসব বৈচিত্রপূর্ণ গল্প কখনো কখনো লেখকের লেখা গল্প-উপন্যাসকেও ছাপিয়ে যায়। কেন লেখেন লেখক? কীসের এত দায়? আর এই লেখালেখির জন্য কতটুকু নিজেকে সরিয়ে রাখতে হয় একজন সাধারণ মানুষের সহজ-সুখী জীবন থেকে? এইসব বোধ স্পষ্ট হলে নিঃসন্দেহে প্রত্যেক শিল্পচর্চাকারীর শিল্পসৃষ্টিই অর্থময় হয়ে উঠতে বাধ্য। আমাদের মননের গভীরে গিয়ে আত্মশুদ্ধির চিন্তার সময় লেখার শুরুর দিকটাই। কারন আমরা বেশিরভাগ শিল্পী লেখকই নিজেরই গন্ধে কস্তুরীমৃগের মতো উন্মত্ত। সেই আমরাই যদি কখনো আত্মশুদ্ধির কথা চিন্তা করি- আমি কে, আমি কি, আমি কোথায়, এই বিশ্বের দুই হাজারের অধিক ভাষার মধ্যে হয়তো জনসংখ্যার দিক থেকে আমাদের ভাষা শক্তিশালী কিন্তু সাহিত্যিক দিক থেকে আসলে কতখানি এগিয়ে আমাদের মাত্র দেড় হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া এই নবীন ভাষাটি, আর সেই ভাষারই বা চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য, পুঁথি-পালার চিরন্তণ গতির মধ্য দিয়ে আধুনিক হয়ে ওঠা শেকড়জ মাটিঅন্তপ্রাণ বাংলা ভাষার কতটুকু
Title
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
তিনি তরুণ কবি হিসেবেই সমধিক পরিচিত। সমান দক্ষতা রয়েছে কথাসাহিত্য ও অনুবাদে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ সহাস্য বিষন্নতা প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। প্রথম উপন্যাস আরমান শেখ ও তার শেকড় সংক্রান্ত জটিলতা (২০০৮)-এর জন্য পেয়েছেন খুলনা রাইটার্স্ পদক ২০০৯। তৃণমূল মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন। প্রান্তিক সাংবাদিকতার সুবাদে পেয়েছেন প্রাকৃতজন পুরস্কার ২০০১। তাঁর উপন্যাসের প্রতি পরতে মানুষের জীবনবোধ, দ্বন্ধ, দর্শ্ন, জীবনকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখার প্রবণতা লক্ষনীয়। এই সঙ্গে প্রবল আবেগময় ভাষার সহজ সরল বুননে পাঠককে ধরে রাখেন উপন্যাস শেষ না হওয়া পর্য্ন্ত। একাধিক বই পুনঃমুদ্রিত হয়েছে। এ লেখকের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৬টি।