সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে সংবাদচর্চা সম্পাদক ছড়াকার মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর-‘সুচিত্রা’। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে এর মোড়ক উন্মোচন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকাশনা সংস্থা-প্রিয়মুখ। গ্রন্থমেলার ২০৪নং স্টলে ওই দিন থেকেই ছড়ার বইটি পাঠকের জন্য বিশেষভাবে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক। বইটিতে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে নিয়ে একটি অনবদ্য ছড়াকেই বইয়ের শিরোনাম করা হয়েছে। এছাড়াও ছড়াকারের ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে আসা অভিনেত্রী মিতা নূরকে নিয়েও একটি ছড়া রয়েছে। এছাড়াও বইটিতে স্থান পাওয়া ছড়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- বুকে চেপে রাখে, মা ছাড়া, মাসুল, রস নেই, খাওয়া, বাপের বেটা, মৌসুমি, দাদার দিনকাল গুরুর নাট্য, অধরা, ভালবাসার আকাশ, ভোট বিষয়ক দু’টি ছড়া, রক্তমাখা ফুল, বাদর, সাত বোনের ভাই ও অষ্টম আশ্চর্য ও পৃথিবীটা ঘুরে ভন। ছড়াগ্রন্থ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ২০০৬ সালে ছক্কা, ২০০৯ সালে ছড়ার ঘুড়ির পরে সুচিত্রা আমার অন্যরকম সৃষ্টি। এই উপমহাদেশে সুচিত্রার মতো হৃদয় তোলপাড় করা অভিনেত্রীর গুণমুগ্ধতায় আচ্ছন্ন পাঠকের কাছে এটা সামান্য সান্তনা। বইটি ছোট-বড় সবার ভাল লাগবে আমার বিশ্বাস। ছড়াকার নেয়ামত দু’বছর ধরে নিজেই প্রকাশনা ও সম্পাদনা করছেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদচর্চা। এর আগে দেশের পুরোনো পত্রিকা-সংবাদ-এ কাজ করেছেন টানা তিন বছর। দেশের কয়েকটি জাতীয় সংবাদপত্রে সাংবাদিকতাও করেছেন। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি দৈনিকে সাহিত্য সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক, বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। নারায়ণগঞ্জের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ সরকারী তোলারাম কলেজে গণিতে পড়াশোনা করেন এই সংবাদ ও ছড়াকর্মী। সংবাদচর্চা সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ নারায়ণগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ কাশীপুরে ১১ মে জন্ম নেন। ছড়ার সাথে আজ অবদি পথচলায় কুড়িয়েছেন বেশ কিছু অর্জনও। একটি জাতীয় দৈনিকের পাঠক সংগঠন-প্রিয়জন সমাবেশ তাকে ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার সেরা ছড়াকারের পুরস্কারের ভূষিত করে। পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননাও। ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ‘বাংলাদেশ মানব কল্যাণ সমিতি’ ‘রেনেসা’ ‘লেখক পরিষদ’ সহ বেশ কিছু সম্মাননা ও স্বর্ণপদক। ২০০৬ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যৌথভাবে বেরোয় -‘ছক্কা’। এরপর ২০০৯ সালে ছড়ার বই-‘ছড়ার ঘুড়ি’ বাজারে আসে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কয়েক শ’ ছড়া প্রকাশিত হলেও সময়ের তুলনা খুব কম। ২০০৯ সালে ‘ছড়ার ঘুড়ি’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আল মাহমুদ যেমনটি বলেছিলেন, ‘তুমি এত কম লিখো কেন? এমন দারুন ছড়ার আরো চাষ চাই’