এ গ্রন্থে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ক্রমবিকাশের ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থটি শুরু হয়েছে ১৭৭৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশকৃত 'রেগুলেটিং এ্যাক্ট' (নিয়ামক আইন) নামক আইনের আলোচনা দিয়ে। 'রেগুলেটিং এ্যাক্ট' একদিকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষে একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শাসন করার ক্ষমতা দেয়। অপরদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট-এর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ ব্রিটিশ সরকার এখানে প্রত্যক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা না করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। এ ব্যবস্থা চলে প্রায় একশ' বছর। এই একশ' বছর ধরে ঔপনিবেশিক শাসনের মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ উপযোগী শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন করা। সেরকম একটা শাসনকাঠামো তৈরি করার ফলে উপমহাদেশের সনাতন শাসন কাঠামো বদলে যায়। কোম্পানির শাসনে উপমহাদেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। তার প্রতিক্রিয়ায় সংঘঠিত হয় ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ। আর মহাবিদ্রোহের পর ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে মৌলিক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে, শুরু হয় ব্রিটিশ রাজের প্রত্যক্ষ শাসন। তা' চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। ঔপনিবেশিক শাসনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ প্রশাসনিক মডেল। নতুন শাসন কাঠামোতে ভারতীয়দেরকে ধীরে ধীরে অন্তর্ভুক্ত করা হতে থাকে। গোটা ভারতবর্ষ একই প্রশাসনিক কাঠামোভুক্ত করা হয়। এর ফলে ভারতবাসীর মধ্যে একটা রাজনৈতিক