সারা পৃথিবীতে প্রতিটি মায়ের কাছে শিশুর সরল প্রশ্ন : আমি এলাম কোত্থেকে? এর উত্তরে মা প্রায়ই খোঁজেন, চাঁদ কিংবা তারার উপমা; বলেন, ‘ইচ্ছে হয়ে ছিলি মনের মাঝারে’। এতে শিশু মনের কৌতূহলের তাৎক্ষণিক নিবৃত্তি হলেও, উত্তর দিয়ে মায়ের আশ মেটে না কিছুতেই। কেননা, তাঁর শিশু, নবজাতক থেকে শুরু করে সাবালক হয়ে ওঠা পর্যন্ত, মায়ের প্রশ্ন ও কৌতূহলের কোনো শেষ নেই। নিত্যনতুন সমস্যা, নতুন নতুন প্রশ্ন! কত রকমের কৌতূহল ও উপসর্গ এটা কি, ওটা কি? এটা কেন হয়, ওটা কেন হয় না? এখন আমি কি করি। কোথায়, কার কাছে যাই! শিশুদের নিয়ে এই ভয়-ভীতি, কৌতূহল ও প্রশ্ন, সমস্যা ও সমাধান খোঁজা মায়েদের কাছে আদৌ নতুন কিছু নয়। বরং বলা যায়, সেই আদিকাল থেকেই পৃথিবীর প্রতিটি মায়ের কাছে তাঁর স্বপ্নের শিশুকে ঘিরে চলেছে এতসব প্রশ্ন, নিরন্তর কৌতূহল ও উত্তর খোঁজার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি। বলাবাহুল্য, মায়েদের এতসব প্রশ্ন ও অন্তহীন কৌতূহলের সবচেয়ে ভালো যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে পারেন একমাত্র ও প্রধানত চিকিৎসকরাই। ডা. সুমন চৌধুরী নিজে একজন শিশুরোগের চিকিৎসক। বাংলাদেশে কিংবদন্তীতুল্য ও প্রবাদপ্রতিম শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম আর খান এবং শিশুরোগ চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ও শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, নিবেদিতা নাসিং হোম (ধানমন্ডি) ও সেন্টাল হাসপাতাল লিমিটেডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যতম প্রধান একজন পেশাজীবী চিকিৎসক হিসেবে তিনি শিশু পরিচর্যা ও লালন-পালন সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের খুঁটিনাটি উত্তর খুঁজেছেন। ‘‘শিশুর প্রতিদিনের খাবার"- এ বইটি হাতের কাছে থাকলে মায়েদের অনেক প্রশ্ন ও কৌতূহলের উত্তর মিটবে নিঃসন্দেহে। ডা. সুমন চৌধুরীর ভাষা সহজ ও সুন্দর, প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী। দৈনিক বাংলা, সাপ্তাহি’ক বিচিত্রা, রোববার সহ নানা পত্রপত্রিকায় চিকিৎসা বিষয় লেখালেখি করে তিনি এমনিতেই সিদ্ধহস্ত। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় স্বাস্থ্য ক্যাপসুল কলামে নিয়মিতভাবে ডা. সুমন চৌধুরী লিখতেন, যা পাঠক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছিল। মায়েরা এ বই খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। আর, নিজের শিশুকে ঘিরে মনের মনিকোঠায় জমে থাকা অসংখ্য কৌতূহল ও প্রশ্নের সুনিশ্চিত উত্তর পাবেন এ বইয়ে প্রায় অজানা-অচেনা প্রায়ন্ধকার ও আলো ছায়ায় দ্যুতিমান হীরককুচিত মতো।